<p>এটি একটি রেটিনার রোগ, যা সাধারণত প্রিম্যাচিউর বা অপরিণত শিশুদের হয়ে থাকে। এই রোগে চোখের রেটিনায় অনেক নতুন রক্তনালিকা তৈরি হয়। এতে করে রেটিনা ছিঁড়ে বাচ্চারা অন্ধ হয়ে যেতে পারে।</p> <p><strong>এই রোগ কাদের হতে পারে?</strong></p> <p>♦ প্রিম্যাচুরিটি-সাধারণত ৩৫ সপ্তাহ বা এর আগে যদি কোনো শিশু জন্মগ্রহণ করে।</p> <p>♦ জন্মগ্রহণের সময় শিশুর ওজন যদি দুই কেজির কম হয়।</p> <p>♦ জন্মের পর শিশুকে যদি কিছুদিন এনআইসিইউতে রাখতে হয়।</p> <p>♦ জন্মের পর শিশুর যদি ইনফেকশন হয়।</p> <p>♦ জন্মের পর শিশুর যদি রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া থাকে।</p> <p>♦ জন্মের পরপরই যদি শিশুর জন্ডিস থাকে।</p> <p>♦ জন্মের পর শিশুর শরীরে যদি অক্সিজেনের অভাব থাকে এবং সেই স্বল্পতা দূর করার জন্য যদি অক্সিজেন দেওয়া হয়ে থাকে। </p> <p><strong>আরওপির পাঁচটি ধাপ</strong></p> <p>এ রোগের সাধারণত পাঁচটি ধাপ বা স্টেজ রয়েছে। স্টেজ ১, ২, ৩, ৪ ও ৫।</p> <p>এর মধ্যে স্টেজ ১ ও ২-এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চক্ষু চিকিৎসকের কাছে  ফলোআপে থাকতে হবে। স্টেজ ৩, ৪ ও ৫-এর ক্ষেত্রে সাধারণত চিকিৎসা নিতে হয়।</p> <p><strong>চিকিৎসা</strong></p> <p>♦ চোখের ভেতরে অ্যান্টি ভিইজিএফ ইনজেকশন দেওয়া।</p> <p>♦ চোখের ভেতর রেটিনাতে লেজার দেওয়া।</p> <p>♦ রেটিনার অপারেশন।</p> <p><strong>প্রতিরোধ</strong></p> <p>♦ গর্ভাবস্থায় নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর চিকিৎসকের কাছে ফলোআপে যেতে হবে।</p> <p>♦ গর্ভাবস্থায় গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলতে হবে।</p> <p>♦ নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্মানো, স্বল্প ওজন নিয়ে জন্মানো এবং জন্মের পর এনআইসিইউতে রাখা সব শিশুকে চক্ষু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চোখের রেটিনা পরীক্ষা করাতে হবে।</p> <p><strong>আরওপি স্ক্রিনিং কী?</strong></p> <p>আরওপির ঝুঁকিতে থাকা শিশুর জন্মের পর সাধারণত চার থেকে ৯ সপ্তাহের মধ্যে চক্ষু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চোখের রেটিনা পরীক্ষা করতে হয়। চিকিৎসক রেটিনা ভালোভাবে পরীক্ষা করে দেখে তাঁর পরামর্শ জানাবেন এবং প্রয়োজন হলে দুই-তিন সপ্তাহ পর আবার ফলোআপে আসতে বলবেন। এভাবে যত দিন রেটিনাতে ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে তত দিন আরওপি স্ক্রিনিংয়ের জন্য চক্ষু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন, আরওপি স্ক্রিনিং অত্যন্ত জরুরি একটি পরীক্ষা, কারণ যদি প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়ে সে ক্ষেত্রে আপনার শিশুকে অন্ধত্বের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব।</p> <p>পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p>ডা. তারান্নুম ইসলাম</p> <p>জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, আগারগাঁও, ঢাকা।</p>