<p>ক্লান্তিবোধ সবারই হয়। যখন ক্রমাগত ক্লান্তি ও অলসতা আসে তখন বুঝতে হবে এটি ক্লান্তির থেকেও বেশি কিছু। এই অবস্থাকে বলা হয় 'অ্যানার্জিয়া'। অ্যানার্জিয়া হলো ক্লান্তি, শক্তির অভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্নতার ক্রমাগত অনুভূতি। অ্যানার্জিয়া আমাদের শরীরে অলসতা নিয়ে আসে। আমাদের পছন্দের কাজগুলো করতে বাধা দেয়। এই অবস্থায় ঘন ঘন ক্লান্ত লাগা, বিছানায় থাকার বা অতিরিক্ত ঘুমানোর অপ্রতিরোধ্য ইচ্ছা সৃষ্টি করতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে অ্যানার্জিয়া কোনো রোগ নয়,  তবে বিষণ্ণতার মতো অন্যান্য মানসিক ব্যাধির উপসর্গ হিসিবে ধরা হয় এটিকে।</p> <p><strong>অ্যানার্জিয়ার লক্ষণ</strong><br /> ১. পছন্দের কাজেও অনীহা ।<br /> ২. ক্রমাগত ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব।<br /> ৩. অনুপ্রেরণার অভাব।<br /> ৪. ঘুমের ইচ্ছা বেড়ে যায়।<br /> ৫. মনোযোগে বিঘ্ন।<br /> ৬. ক্ষুধা পরিবর্তন, ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস।<br /> ৭. ক্রমাগত আশাহীন বা অসহায় বোধ করা।</p> <p><strong>প্রতিকার</strong><br /> অ্যানার্জিয়া শুধুমাত্র আপনার সাধারণ ক্লান্তি নয়, এটি শক্তির ক্রমাগত অভাববোধ যা স্বাস্থ্যগত সমস্যার সংকেত হিসিবে ধরা হয়। মাঝে মাঝে স্রেফ ক্লান্তি এবং অ্যানার্জিয়ার মধ্যে পার্থক্য শনাক্ত করা প্রয়োজন। অ্যানার্জিয়ার লক্ষণ থাকলে চিকিৎসার সহায়তা নেওয়া অপরিহার্য। আপনার যদি মনে হয় আপনার অ্যানার্জিয়া হয়েছে, তবে পেশাদার চিকিৎসকের সাহায্য নিন। এই অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন জীবনযাত্রার পরিবর্তন, থেরাপি, ওষুধ ইত্যাদি। চিকিৎসক আপনার অবস্থা বুঝে চিকিৎসা দেবেন। প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যক্তিদের তাদের জীবনীশক্তি পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের সামগ্রিক জীবনের মান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।</p> <p>সূত্র: দ্য ওয়েলনেস কর্ণার</p>