<p>সপ্তাহে তিনবারের বেশি পায়খানা না হওয়া বা পায়খানা করার সময় শিশু যদি ব্যথা পায় ও কষ্ট অনুভব করে, তাহলে শিশুটি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে বলে ধরে নেওয়া হয়। পেট পরিষ্কার না হওয়ার ফলে গ্যাস হয়। এতে শিশুর পেটে ব্যথার সৃষ্টি হয়। মল শক্ত হওয়ার কারণে মলত্যাগের সময় শিশু খুব কষ্ট পায়। এ সময় শিশুর খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়।</p> <p><strong>কারণ</strong></p> <p>কম আঁশযুক্ত খাবার খেলে অনেক শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে পারে। বেশি পরিমাণে দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া এবং ফল ও সবজি এড়িয়ে চলার কারণেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।</p> <p><strong>লক্ষণ</strong></p> <p>* মলত্যাগ কম করা</p> <p>* মলত্যাগ করতে কষ্ট অনুভূত হওয়া</p> <p>* শক্ত বা অল্প পরিমাণে মলত্যাগ হওয়া</p> <p>* পেটে ব্যথা বা পেট ফুলে থাকা</p> <p>* বমি ও বমি ভাব</p> <p><strong>করণীয়</strong></p> <p>* জন্মের পর পূর্ণ ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। মায়ের বুকের দুধ যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে সে জন্য একজন দক্ষ পুষ্টিবিদের পরামর্শে মায়ের খাদ্যতালিকা ঠিক করে নেওয়া উচিত।</p> <p>* ছয় মাস পর বুকের দুধের পাশাপাশি বাচ্চার পরিপূরক খাবারে পর্যাপ্ত সলিউবল ফাইবার (যে ফাইবার পানিতে দ্রবীভূত হয়) ও পানি যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</p> <p>* এক বছর বয়সের পর থেকে বাচ্চাকে সকালে খালি পেটে পানি দিতে হবে ও নাশতার আগে অবশ্যই পটি ট্রেনিং করাতে হবে।</p> <p>* বাচ্চার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পানি আছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</p> <p>* বাচ্চাদের অবশ্যই প্রতিদিন এক ঘণ্টা খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। পাশাপাশি ঘরোয়া ব্যায়াম ও নিজের কাজ গোছানোর মতো বিষয়গুলোতেও অভ্যাস করানো জরুরি। এতে কায়িক পরিশ্রম হবে, হজমশক্তি বাড়বে, পেট পরিষ্কার থাকবে।</p> <p><strong>যা খেতে হবে</strong></p> <p>বুকের দুধ, সাগু, লাল বা বাদামি চালের ভাত, লাল চিঁড়া, ওটস, ছাতু, পেঁপে, লাউ, চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিঙা, লালশাক, পালংশাক, কলা, খেজুর ইত্যাদি।</p> <p>যা এড়িয়ে চলতে হবে</p> <p>যেসব বাচ্চা এরই মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে, তাদের জন্য রুটি ও শক্ত ভাত, পোলাও চালের ভাত, গরুর মাংস, ফর্মুলা মিল্ক বাদ দেওয়া জরুরি।</p> <p><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong></p> <p>ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা<br /> ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালট্যান্ট<br /> ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, মালিবাগ, ঢাকা</p>