<p>বেনারসি শাড়ি সব বাঙালির থাকেই। বাঙালি মেয়ের বিয়ে মানেই নতুন কনে লাল টুকটুকে বেনারসিতে নিজেকে সাজিয়ে তুলবেন। তাই বিয়ের বেনারসি কেনার সময় ভালো দোকান থেকে কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিয়েতে একটা বেনারসি অনেক মেয়ের স্বপ্ন। তাই খুব যত্ন নিয়ে এটা কেনা দরকার। অনেকে আবার শাড়ি সহজে চিনতে পারেন‌ না। জেনে নিন আসল বেনারসি শাড়ি চেনার উপায়।</p> <p><strong>**</strong> শাড়ি ও রঙ পছন্দ হলে শাড়িটা ধরে দুই পাশে হাত বুলিয়ে দেখুন। আসল বেনারসির দুই পিঠেই ঘন বুনন হয়। তাই কোনো পাশই হাতে খসখসে লাগবে না। হাতে খসখসে লাগলে বুঝতে হবে নকল বেনারসি।</p> <p><strong>**</strong> বেনারসি শাড়ি সাধারণত রূপালি ও সোনালি জরি দিয়ে বোনা হয়। তাই রঙটা খুব উজ্জ্বল হয়। রং দেখেই বুঝবেন।  উজ্জ্বল না হলে শাড়ি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।</p> <p><strong>** </strong>অত্যন্ত উন্নত মানের সুতা দিয়ে বেনারসি তৈরি হয়। তাই সুতার মান চেনা গেলেই বেনারসি শাড়ি চেনা যায়। এই ধরনের এক একটি শাড়ি তৈরি করতে কারিগরদের খুব পরিশ্রম করতে হয়। একটা শাড়ি তৈরিতে এক মাসও সময় লেগে যায়।</p> <p><strong>**</strong> বেনারসি শাড়ির নকশার দিকে নজর দিন। আসল বেনারসিতে মোঘল মোটিফ পাবেন। আমরু, দোমাক, আমবির মতো মোটিফ পাবেন। ফুলের নকশা পাবেন। কিন্তু নকল বেনারসিতে থাকবে না। কারুকাজ বা নকশার ধরনই বলে দেয় আসল বেনারসি কোনটা। যদিও বর্তমানে বেনারসিতে অনেকরকম আধুনিক ডিজাইন দেখা যায়। </p> <p><strong>** </strong>বেনারসি শাড়ির আঁচলে ছয় থেকে আট ইঞ্চির প্যাঁচ থাকে। এই প্যাঁচ দেখেই আসল বেনারসি চেনা যায়। কাঁধের কাছে এই অংশটি পড়ে। নকল শাড়িতে এটি থাকে না।</p> <p><strong>**</strong> গুণগত মান যত বেশি হয় দামও তত বেশি হতে থাকে । তাই নকল বেনারসির যেহেতু আসল বেনারসির মতো নয় তাই দোকানদাররা অনেক সময়ই বেনারসির দাম কম রাখতে পারে। আর ক্রেতা হিসেবে আমরা মনে করি, কম দামে আসল বেনারসি কিনতে পেরেছি। </p> <p><strong>** </strong>হাতের আংটি দিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। আসল সিল্ক হবে সুন্দর ও মোলায়েম। তাই একটি আংটির ভিতর দিয়ে খুব সহজেই প্রবেশ করাতে পারবেন। কিন্তু নকল শাড়ির ক্ষেত্রে এটা না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।</p> <p>সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা, এই সময়।</p>