<p>হিয়ারিং এইড হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। শ্রবণশক্তি কমে গেলে আমরা এই যন্ত্র ব্যবহার করি। হিয়ারিং এইড কখনো শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে দিতে পারে না। এটা শুধু কানে আসা শব্দের মাত্রা বাড়িয়ে শ্রবণযোগ্য করে তোলে। </p> <p>মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল চিকিত্সায় শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলেই হিয়ারিং এইড ব্যবহারের উপদেশ দেওয়া হয়ে থাকে।</p> <p><strong>হিয়ারিং এইড কেনার আগে</strong></p> <p>♦ একজন নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।</p> <p>♦ সব হিয়ারিং এইড সবার কানে সমানভাবে এডজাস্ট না-ও করতে পারে, তাই ট্রায়াল ছাড়া কোনো হিয়ারিং এইড কিনবেন না।</p> <p>♦ পাওয়ার বাড়ানোর সুযোগ আছে কি না জেনে নিন। ভালো মানের একটি হিয়ারিং এইড অন্তত পাঁচ বছর ব্যবহারযোগ্য হওয়া উচিত।</p> <p>♦ ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি, সার্ভিস চার্জ, পার্টস ইত্যাদি বিষয় নিশ্চিত হয়ে নিন।</p> <p>♦ হিয়ারিং এইড কখনোই আপনার শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে আনতে পারে না। তাই এ রকম বিজ্ঞাপনে প্রতারিত হবেন না।</p> <p>♦ নিম্নমানের মেশিন শ্রবণশক্তি আরো কমিয়ে দিতে পারে। তাই খোলাবাজার থেকে কম দামে না নেওয়া ভালো।</p> <p><strong>ব্যবহারের সময় যা খেয়াল রাখবেন</strong></p> <p>♦ হিয়ারিং এইড আপনার কান ও শরীরের সঙ্গে এডজাস্ট হতে কিছু সময় লাগতে পারে। প্রথম দিকে এমনকি আপনার নিজের গলার আওয়াজও অপরিচিত মনে হতে পারে। শুরুতে একটু অস্বস্তি লাগলেও সময় গড়ালে হিয়ারিং এইডের মাধ্যমে কথা বোঝার ক্ষমতা বাড়তে থাকবে এবং স্বাভাবিক মনে হতে থাকবে। অনেকেই এক-দুই দিন ব্যবহার করে ফেলে রাখে, যা পরে আর ব্যবহার করা হয় না।</p> <p>♦ প্রথম দিকে আপনি যত বেশি সময় ব্যবহার করবেন, আপনার কান হিয়ারিং এইডটিকে তত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নেবে।</p> <p>♦ বিভিন্ন পরিবেশে হিয়ারিং এইড ব্যবহার অনুশীলন করুন। কারণ বর্ধিত শব্দ বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন রকম মনে হতে পারে।</p> <p>♦ দুই কানেই ৫০ ডেসিবেলের বেশি শ্রুতিক্ষীণতা দেখা দিলে উভয় কানেই হিয়ারিং এইড ব্যবহার করা প্রয়োজন।</p> <p><strong>যত্ন ও পরিচর্যা</strong></p> <p>♦ উচ্চ তাপ, আর্দ্রতা ও পানি থেকে দূরে রাখুন।</p> <p>♦ শিশু ও পোষা প্রাণী থেকে দূরে রাখুন।</p> <p>♦ নির্দেশমতো ব্যবহারের পর পরিষ্কার করুন।</p> <p>♦ যখন ব্যবহার করবেন না, তখন সুইচ বন্ধ রাখুন।</p> <p>♦ ব্যাটারির আয়ু কমলে সময়মতো তা পরিবর্তন করুন।</p> <p>জেনে রাখুন, ব্যবহারকারী ও শোনার যন্ত্রের কিছু সীমবদ্ধতা আছে, যা অবশ্যই আমাদের মেনে নিতে হবে।</p> <p><strong>পরামর্শ দিয়েছেন</strong></p> <p>ডা. আলমগীর মো. সোয়েব<br /> কনসালট্যান্ট (ইএনটি)<br /> চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল</p>