মদ্যপান বেশি করলেই যে লিভারে রোগ হয় তা কিন্তু নয়, অন্য কারণও আছে। ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস আর শরীরে বাড়তি ওজন এমন রোগের সূচনা করতে পারে। প্রথম দিকে তেমন লক্ষণ প্রকাশ পায় না বলে রোগী বুঝতেও পারে না। ক্রমে গুরুতর আকার ধারণ করে এই নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বা নন-অ্যালকোহলিক স্টিয়াটোহেপাটাইটিস (এনএএসএইচ)।
বিজ্ঞাপন
লক্ষণ
♦ পেটের ডান দিকে ওপরে পাঁজরের নিচের ডান দিকে ভোঁতা ব্যথা
♦ প্রচণ্ড ক্লান্তি
♦ বমির ভাব
♦ ক্ষুধা অনুভব না করা
♦ অকারণে ওজন হ্রাস
♦ দুর্বলতা
এসব লক্ষণ দেখা দিলে লিভার বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। অবহেলায় লিভার অকার্যকর হয় এবং লিভারের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। এর প্রতিরোধে তাই কম বয়স থেকেই জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে। অকার্যকর হতে শুরু করলে লিভার হয় ঢিলেঢালা, পিণ্ডময় এবং আয়তও কমে যায়। তখন এই উপসর্গগুলো দেখা দেয়—
♦ জন্ডিস, ত্বক আর চোখের সাদা হয় হলুদ
♦ ত্বক চুলকাতে থাকে
♦ পা, পেট, গোড়ালি পায়ের পাতা ফুলে যায়
করণীয়
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। মূলত উদ্ভিজ্জ ডায়েট সবজি, হোল গ্রেন আর হেলদি ফ্যাট, মাছ খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে। ওজন বেশি হলে ক্যালরি কম পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।