জরায়ু ক্যান্সার নারীদের খুব সাধারণ একটি রোগ। তবে স্বস্তির বিষয় হলো এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। এইসব ভুল ধারণা আমাদের আগে সংশোধন করা দরকার।
জরায়ু ক্যান্সারের কোন কারণ নেই:
বেশিরভাগ সার্ভিকাল ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি), যৌন সংক্রমণ ভাইরাসের সংস্পর্শের ফলে ঘটে। যদিও অন্যান্য অনেক কারণে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে তবে তাতে ক্যান্সার হয় না।
ভ্যাকসিন জরায়ু ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে:
এইচপিভি ভ্যাকসিন শুধুমাত্র শতকরা ৮০ ভাগ নারীদের জরায়ু ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে। তবে নিরাপদ যৌন মিলন এবং ধূমপান না করা আপনাকে ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিতে পারে।
রুটিন স্ক্রিনিং:
আপনি যদি অনেকদিন যৌন মিলন না করেন বা একজনের বেশি ব্যক্তির সাথে না করেন এর অর্থই এই নয় যে আপনি সংক্রমিত হবেন না। এজন্য রুটিন স্ক্রিনিং করোনা জরুরী।
বয়স্ক নারীদের হয়:
জরায়ু ক্যান্সার যে শুধুমাত্র বয়স্ক নারীদের হয় এইটা কোন কথা না। এইটা যেকোন বয়সে হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ৩৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে।
প্যাপ টেস্ট অর্থই ক্যান্সার না:
প্যাপ টেস্টে অনেকগুলি অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনার ক্যান্সার হয়েছে। এমন হলে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
জরায়ু ক্যান্সারে লক্ষণ থাকবেই:
প্রথমে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের। এরপর যৌন মিলনের সময় ব্যাথা, মাসিক ও স্বাভাবিক সময়ের মাঝে রক্তপাত,মেনোপজের পরে রক্তপার এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
সমকামী মিলনে জরায়ু ক্যান্সার হয় না:
এমন কোন প্রমাণ নেই যে যারা সমকামীতায় লিপ্ত হয় তাদের ক্যান্সার হয় না।
বংশে কারো নেয় অর্থ আপনি নিরাপদ না:
অনেকের পরিবারের কারোর জরায়ু ক্যান্সার হয়না তবুও কেউ না কেউ নতুন করে ক্যান্সারে ভুগে থাকে।
নিরাময়যোগ্য:
প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে জরায়ু ক্যান্সার সারে। লেজার সার্জারি ছাড়াও অনেক রকম চিকিৎসা আছে যা ক্যান্সার নিরাময় করতে পারে।
সূত্র: হেলথ শটস
মন্তব্য