কুখ্যাত সন্ত্রাসী হেলমেট-জামানের নবীন শিষ্য বাচাল-জসিম হঠাৎ তার লাখ টাকা দামি সেলফোনটা বেঁচে দিল।
হেলমেট-জামান: এইটা তুই কি করলি? ফোনটা তো খুবই ভাল ছিল। তাছাড়া ওইটা ছাড়া চলবি কেমনে?
বাচাল-জসিম: বস, টেনশন নিয়েন না। মাত্র একদিন কষ্ট করমু। এরপরই আরো পাঁচটা সেলফোন কিনুম ওইটার চেয়ে দামি!
হেলমেট-জামান: কেমনে কি? বুঝায়া ক দেহি!
বাচাল-জসিম: ফোন বেঁচা টাকায় রিভলভার কিনছি একটা সস্তায়। হেইটা দিয়া কাইল-পরশুর মধ্যেই আরও দামি পাঁচটা ফোন কিনা ফেলমু, বস...
হেলমেট-জামান: বুঝলাম, তোরে সাগরিদের টিকিট দিয়া ভুল করি নাই...
(২)
আফ্রিকার এক দেশের গল্প। সংসারের বিরামহীন অশান্তিতে ত্যক্ত-বিরক্ত স্বামী-স্ত্রী বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিল। সে সূত্রে আদালতে হাজিরও হলো। তবে বিচারক খুব মানবিক ছিলেন। তিনি সংসার ভাঙা ঠেকাতে তৎপর হলেন
বিচারক: আপনারা তো ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। এছাড়া আপনাদের তিন তিনটি সন্তান। তারপরেও বিচ্ছেদ চাচ্ছেন, দুজনেই!
স্বামী: এছাড়া শান্তির আর কোনো রাস্তা পাচ্ছি না, মান্যবর।
স্ত্রী: রোজ রোজকার কাইজ্যা-ঝগড়া আর সহ্য করা যাচ্ছে না, হুজুর। এমন রেগুলার অশান্তির চেয়ে বিচ্ছেদ শ্রেয়। আমরা দুজনেই একমত হয়ে স্বেচ্ছায় এই বিচ্ছেদ চাই। বিয়ে এবং বিচ্ছেদের দায় দায়িত্ব আমাদের সমান।
স্ত্রীটির এমন বয়ানে বিচারক একটু আশার আলো দেখতে পেলেন।
বিচারক: কিন্তু তিনটি সন্তানকে আপনারা কিভাবে সমান ভাগে ভাগ করবেন? বলুন!
স্বামী: ঠিক আছে, স্যার! আমরা আগামী বছর আসছি- তখন আমাদের চারজন সন্তান থাকবে। তবু বিচ্ছেদটা চাই!
স্ত্রী: হুম, চিরশান্তির জন্য আর একটি বছর অশান্তির সংসার মেনে নিতে রাজি আমি। চল যাই...
দশ মাস পর ওই দম্পতির ফোন পেলেন বিচারক।
- কী করবো বুঝতে পারছি না, মহাত্মন!
-কেন, কী অশান্তি হলো আবার!
-স্যার, আমাদের যে যমজ সন্তান হয়েছে।
-তাহলে আগামী বছর আসেন... বিচারক মুচকি হেসে ফোন কেটে দিলেন।
(৩)
মন্টু: বাবা! বাবা! এটা কী করলে তুমি?
মন্টুর বাপ: কেন, হয়েছেটা কি?
মন্টু: আমার রেজাল্ট কার্ডে সই না দিয়ে টিপসই দিলে কেন?
মন্টুর বাপ: যে রেজাল্ট করেছিস... আমি চাই না স্কুলের কেউ জানুক এই বাড়িতে লেখাপড়া জানা কেউ থাকে...
(৪)
কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা-বদু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর আত্মীয়-স্বজনের চাপে বিয়েটাও করে ফেললো।
তবে বিগত জীবনের কথা মনে করে বাসর রাতে তার খুব অনুশোচনা হতে লাগলো। একপর্যায়ে ঠিক করলো, যেভাবে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবিনে ফিরে এসেছে ঠিক সেভাবে বাসর ঘরেই বউয়ের কাছে স্বীকার করে নেবে তার একটি জঘন্য দোষের কথা। অর্থাৎ বাসর ঘরেই বিড়াল মেরে ফেলতে হবে। আশা করা যায় এতে সংসারজীবনেও ভাল থাকা যাবে।
নববধূকে ইয়াবা-বদু বললো: তোমার কাছে সত্য লুকানোর চেষ্টা করমু না। বিয়ের আগে পর্যন্ত দোষ বলতে আমার একটাই ইস্যু ছিল। তা হইলো- আজে-বাজে জায়গায় যাইতাম। আর সেইখানে খারাপ মেয়েদের সাথে মজা...
বদুর কথা শেষ হওয়ার আগেই নববধূ খুশিতে বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল- আরে তাইতো কই, চেহারাটা কেমন চেনা চেনা লাগছিল তোমার!
ইয়াবা-বদু জ্ঞান হারাতে হারাতে শুনতে পেল বউ স্বস্তিভরা গলায় বলছে- আর আমি তো ভয়েই ছিলাম! অচেনা অদেখা কার না কার লগে বিয়েটা হয়...
(৫)
জীবন যাপনে ঝামেলা এড়াতে হলে পাওনাদার আর প্রেমিক-প্রেমিকাকে কখনো নিজের বাসা চেনাতে যাবেন না- মন্টুর বাপের উপলব্ধি
মন্তব্য