এলাকায় নতুন আসা ফুচকাওয়ালার অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে খুব কান কথা হচ্ছে। তার ফুচকা টেস্টি, তবে লোকটা নোংরা- এমন কথা শুনতে শুনতে মন্টুর বাপের ইচ্ছা হলো হুদাই মানুষরে দোষী না ভেবে বিষয়টা তদন্ত করে দেখতে।
সরেজমিন তদন্তের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে এক প্লেট চটপটির অর্ডারও দিল সে।
চটপটি খেতে খেতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হলো-
মন্টুর বাপ: বেশ ফুচকা-চটপটি বানাও দেখছি।
ফুচকাওয়ালা: জ্বে স্যার! আপনাদের দোয়া...
মন্টুর বাপ: তার মানে পচা আলু, নষ্ট হওয়া ডাবলি- এসব খাওয়াও না কাস্টমারদের?
ফুচকাওয়ালা: জ্বে না স্যার! কক্ষনো ইমুন কাম করি নাই!
মন্টুর বাপ: ভাল ভাল! তা... বাথরুম করে এসে সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নাও তো? মানে যখন ফুচকা-চটপটি বানাও, তখন?
ফুচকাওয়ালা: না স্যার! সময় পাইনা... অ্যাত্ত কাস্টমার...
মন্টুর বাপ: ওয়াক থু... (মুখ থেকে ফুচকা ফেলে দেয়)
ফুচকাওয়ালা: তবে স্যার! টয়লেটে যাওয়ার আগে ভাল কইরা হাত ধুইতে অয়। কারণ, সবসময় ঝাল-মরিচ নিয়া কাজ করি তো। তাই এইটা ভুললে টয়লেটে আমার কী অবস্থা হইবো এইটা তো বোঝেন, স্যার!!!
ঘৃণা আর হতাশায় সেই যে অজ্ঞান হয়েছে মন্টুর বাপ এখনো জ্ঞান ফেরেনি...
(২)
মানসিক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছে সাংবাদিক। সামনেই হাসপাতালের প্রধান ডাক্তারকে পেলেন তিনি।
সাংবাদিক: আপনাকেই খুঁজছিলাম, স্যার!
ডাক্তার: জ্বী বলুন, কী সেবা দিতে পারি, স্যার!
সাংবাদিক: আমি আসলে জানতে চাই- রোগী বলে যে কাউকে নিয়ে এলেই কি আপনারা মানসিক রোগী হিসেবে তাকে ভর্তি করে নেন?
ডাক্তার: না, তা করা হয় না। এর জন্য কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়ে নেই আগে।
সাংবাদিক: যেমন?
ডাক্তার: এই ধরুন... আমরা পানিভর্তি একটা বাথটাবের সামনে নিয়ে যাই তাকে। এরপর তাকে একটা বালতি, একটা পানির গ্লাস আর একটা চামচ দিয়ে বলা হয়- বাথটাবটা পানিমুক্ত করতে...
সাংবাদিক: তার মানে বালতি দিয়ে যিনি পানি সরাবেন তিনি সুস্থ, আর গ্লাস দিয়ে যিনি সরাবেন তিনি কিছুটা অসুস্থ... আর যিনি চামচ দিয়ে সরাতে যাবেন... হে... হে... সে তো পুরোই... বুঝতে পেরেছি স্যার!
ডাক্তার: আপনি কিছুই বোঝেননি, জনাব। সুস্থ লোক এই তিনটার কোনোটাই করবে না।
সাংবাদিক: বলেন কী! তাহলে?
ডাক্তার: সুস্থ লোক বাথটাবের নিচের চাবিটা খুলে নল দিয়ে সব পানি বের করে দেবে, সিম্পল কাজ।
সাংবাদিক: ওহ, মাই গড!
ডাক্তার: নার্স, উনাকে তিন নম্বর ওয়ার্ডে নিয়ে ভর্তি রাখেন। চিকিৎসা এখনি শুরু করতে হবে...
মন্তব্য