মৃত্যশয্যায় কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মিচকা মনুর খুব অনুশোচনা হতে লাগল জীবনভর করা পাপাচারের জন্য। একমাত্র ছেলে বোচকা মারা তারুকে ইশারায় কাছে ডাকল-
মিচকা মনু : বাপজান আমার! জিন্দেগিভর আকাম-কুকাম কইরা গেছি- অহন বুঝতাছি কত্ত বড় ধোঁকায় ছিলাম আমি!
বোচকা তারু : আব্বাজান, তুমি ভালা হয়া যাইবা, সাহস রাখ। সুস্থ হয়া চেষ্টা করবা... তবলিগ করবা, হজে যাইবা...
মিচকা মনু : না রে বাপ! সময় আমার ফুরায়া আইছে। আমি তো ভালা কাজ করবার পারলাম না দুনিয়ায়। তো আমি চাই- আমার মৃত্যুর পর তুই ইমুন কিছু করবি যাতে মানুষ আমারে কিছুটা ভালা কয়...
বোচকা তারু : বাবাগো... বাবা... তুমি চিন্তা কইরো না... আমি তোমার কথা এক শ ভাগ রাখুম!
এই কথায় কিছুটা স্বস্তি নিয়ে শেষ নিঃস্বাস ছাড়ল মনু।
কিছুদিন পর-
বোচকা তারু বাপের পদে বসেছে। যথারীতি শুরু করেছে ডাকাতি। তবে তার বাপ মিচকা মনু শুধু ডাকাতি করত। কিন্তু বোচকা মারা তারু নয়া রীতির যোগ করল। ডাকাতি করে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া শুরু করল।
লোকজন বলা শুরু করল : আরে... অর বাপ তো ভালা আছিল! ডাকাতি করত খালি। কিন্তু ও তো আগুনও ধরায়া দেয়...
(২)
মন্টুর মা মেসেজ পাঠিয়েছে : অফিস থেকে ফেরার পথে চাপাতা আর সবজি আনতে ভুলো না! আর ভালো কথা, শেলি তোমার খোঁজ করছিল...
মন্টুর বাপ দ্রুত পাল্টা মেসেজ দিল : শেলিটা কে?
মন্টুর মা : শেলি টেলি বইলা আসলে কেউ নাই। দেখলাম তুমি আমার মেসেজ পড় কি না...
(৩)
ক্লাসে এসে ছাত্রদের না পড়িয়ে ঘুমানোর জন্য কুখ্যাতি আছে সজিবের। অলস আর ফাঁকিবাজ স্বভাবের সজিব সেদিন ছাত্রদের ঘুম বিষয়ে নসিহত করছিলেন ক্লাসে-
সজিব : দেখ বাচ্চারা, বেশি ঘুম কিন্তু ভালো না। এই আমাকে দেখ! আমি দিনে আট ঘণ্টার বেশি ঘুমাই না।
ছাত্র : কিন্তু স্যার, স্কুল তো মাত্র ছয় ঘণ্টার... বাকি দুই ঘণ্টা কোথায় ঘুমান!
(৪)
জেলার : ছুটির দিনে দেখি সবারই আত্মীয়-স্বজন আসে দেখা করতে। তোমার কেউ আসে না কেন?
কয়েদি : তারা সবাই দেশ-বিদেশের ভিন্ন ভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছে, স্যার।
(৫)
মন্টুর বাপের লেখাপড়া না করা হাবাগোবা বাল্যবন্ধু সাবের সেদিন হন্তদন্ত হয়ে তার কাছে এলো-
সাবের : দোস্ত, আই অ্যাম গোয়িং-এর বাংলা কি?
মন্টুর বাপ : আমি যাচ্ছি।
সাবের খপ করে মন্টুর বাপের হাত ধরে ফেলে চেঁচিয়ে বলতে শুরু করল : আমারে এর অর্থ তোর কয়া যাইতেই হইব। এভাবে যেতে পারবি না!
মন্টুর বাপ : বললাম তো- আমি যাচ্ছি...
সাবের : হায় আমার কপাল! এর আগে আরো সাতজনরে জিগাইছি- কেউ জবাব দিল না। খালি কয়- আমি যাচ্ছি! ঘটনা তো বুঝলাম না!
মন্টুর বাপ : সবাই তো ঠিকই বলেছে...
সাবের : তুই ও ইমুন মজা শুরু করলি!
রাগে গজরাতে গজরাতে হন হন করে রুম থেকে বের হয়ে গেল সাবের।
মন্তব্য