<p>৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডার পছন্দক্রম নির্ধারণের আবেদন আহ্বান করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আবেদন করা যাবে ২৭ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। নন-ক্যাডার পছন্দক্রম তৈরির সময় প্রার্থীরা কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে পারেন।</p> <p><strong>তুলনামূলক বিশ্লেষণ :</strong> আপনি এরই মধ্যে কর্মরত বা সুপারিশপ্রাপ্ত থাকলে বর্তমান চাকরির নিয়োগবিধি এবং পছন্দের নন-ক্যাডার চাকরির নিয়োগবিধির তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে পারেন। আর বেকার হলে সব পদই পছন্দক্রমে রাখতে পারেন।</p> <p><strong>পদোন্নতি :</strong> নন-ক্যাডার পদগুলোতে প্রমোশনের সুযোগ তুলনামূলকভাবে সীমিত। পদসোপান বিবেচনায় সাবরেজিস্ট্রার, সহকারী পরিচালক-পাসপোর্ট, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, বিভিন্ন অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী ইত্যাদি পদে প্রমোশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তুলনামূলক ভালো।</p> <p><strong>ঢাকা পদায়ন :</strong> ঢাকায় থাকা প্রয়োজন মনে হলে মন্ত্রণালয়ের বিভাগের (অধিদপ্তর ব্যতীত) পদগুলোতে আবেদন করতে পারেন। যেমন - খাদ্য ও পরিকল্পনা বিভাগের গবেষণা কর্মকর্তা। ঢাকার বাইরে অফিস নেই এ রকম দপ্তরগুলোতেও আবেদন করতে পারেন। যেমন - ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রকাশনা কর্মকর্তা, বিভিন্ন অধিদপ্তরের সহকারী প্রগ্রামার, অধিদপ্তরের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোর ইন্সট্রাক্টর ইত্যাদি।</p> <p><strong>নিজ জেলায় পদায়ন :</strong> কোনো পদেই নিজ জেলায় পদায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে নিজ জেলায় পদায়নের ইচ্ছা থাকলে এমন পদগুলো পছন্দক্রমের আগের দিকে রাখুন, যেগুলোতে নিজ জেলায় পদায়নের অফিশিয়াল নিষেধ নেই। তবে পাশের জেলায় পদায়নের সুযোগ বেশির ভাগ পদেই রয়েছে। নিজ জেলায় পোস্টিংয়ের ইচ্ছা থাকলে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ আপনার জন্য সেরা অপশন হতে পারে।</p> <p><strong>ট্রান্সপোর্ট ও আবাসন সুবিধা :</strong> বাংলাদেশ ব্যাংক, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ, ডাক ইত্যাদি কিছু প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কোয়ার্টার থাকে। অন্য সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঢাকা বা জেলা শহরে কমন সরকারি কোয়ার্টারেই থাকতে হয়। তাই এখানে ডাক অধিদপ্তর ছাড়া কারো বিশেষ আবাসন সুবিধা নেই। নন-ক্যাডার নবম গ্রেডে সহকারী পরিচালক-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোন কোন জেলায় গাড়ি সুবিধা আছে, ষষ্ঠ গ্রেড থেকে (যেমন - জেলা রেজিস্ট্রার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা প্রায় সব নন-ক্যাডারেই গাড়ি সুবিধা আছে। ঢাকার অধিদপ্তরে পোস্টিং হলে ট্রান্সপোর্ট সুবিধা পাবেন।</p> <p><strong>মাঠ পর্যায়ে কাজের সুযোগ : </strong>যে অফিসগুলোতে বেশিসংখ্যক সেবাগ্রহীতা সেবা নেয়, সেগুলোকে গুরুত্ব দেন অনেকে। যেমন - সাবরেজিস্ট্রার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইত্যাদি। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে কাজের চাপ তুলনামূলক কম। আবার কিছু পদে যোগ দিয়েই জেলা প্রধান হওয়া যায়। যেমন - এডি-পাসপোর্ট, এডি-মাদকদ্রব্য, এডি-পরিবেশ ইত্যাদি।</p> <p><strong>কর্মপরিবেশ :</strong> কর্মপরিবেশ ও অফিসের গ্লামারকে গুরুত্ব দিলে মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ডিপার্টমেন্টের পদগুলোতে আবেদন করুন। মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে বা পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মতো অফিসগুলোকেও অগ্রাধিকার দিতে পারেন। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও তুলনামূলক ভালো।</p> <p><strong>টেকনিক্যাল পদের জন্য :</strong> ঢাকায় থাকা ও কর্মপরিবেশ বিবেচনায় প্রথমে অধিদপ্তরগুলোর টেকনিক্যাল পদ (যেমন-সহকারী প্রোগ্রামার) প্রথমে দিয়ে পরের দিকে শিক্ষকতা সম্পর্কিত ইন্সট্রাক্টর পদগুলো পছন্দতালিকায় দিতে পারেন।</p> <p><strong>পলিটেকনিক নাকি টিএসসি অথবা ট্যাক্স নাকি কাস্টমস : </strong>একই গ্রেডের সকল পদের গুরুত্ব সমান হলেও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নবম গ্রেডের ইন্সট্রাকটর এবং ট্যাক্স ও কাস্টমসের দশম গ্রেডের কর্মকর্তার মধ্যে পছন্দক্রম নির্ধারণ নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রমোশনের সুযোগ ও কর্মস্থল এর তুলনামূলক বিশ্লেষণ বিবেচনা করে আপনি পছন্দক্রম সাজাতে পারেন।</p>