<div class=\"some-class-name2\" style=\"box-sizing: border-box; font-size: 17px; text-align: justify; margin: 5px 0px 40px;\"> <p style=\"text-align:left\">কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যতজন প্রার্থী পাস করানো হবে, তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন নম্বরই হলো ‘কাট মার্কস’। কাট মার্কস নির্ধারণপ্রক্রিয়া সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে দাপ্তরিকভাবে কিছু বলা নেই। ফলাফল নির্ধারণের পর প্রথমে প্রার্থীদের খাতা ওএমআর মেশিনের মাধ্যমে রিড করে সবার প্রাপ্ত নম্বর নির্ণয় করা হয়।</p> <div class=\"clearfix\" style=\"box-sizing: border-box; zoom: 1; text-align: left;\"> </div> <p style=\"text-align:left\">এরপর পিএসসির মিটিংয়ে কতজন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ দেখানো হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে যে মানদণ্ডগুলো দেখা হতে পারে—</p> <p style=\"text-align:left\"> </p> <p style=\"text-align:left\"><strong>বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত শূন্যপদের সংখ্যা :</strong> ৪৩তম বিসিএসে এক হাজার ৮১৪টি পদের বিপরীতে ১৫ হাজার ২৩৯ জনকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হয়েছিল, যা পদসংখ্যার প্রায় ৯ গুণ। বিগত বিসিএসগুলোতেও শূন্যপদের চেয়ে আট থেকে ১১ গুণ বেশি প্রার্থী টেকানো হয়েছে। ৪৪তম বিসিএসে শূন্যপদের সংখ্যা এক হাজার ৭১০। সে হিসাবে আট গুণ প্রার্থী টেকানো হলে ১৩ হাজার ৬৮০ জন এবং ১১ গুণ প্রার্থী টেকানো হলে ১৮ হাজার ৮১০ জন প্রার্থী প্রিলিতে উত্তীর্ণ হতে পারেন। প্রার্থী কম টেকানো হলে কাট মার্কস যেমন বাড়ে, তেমনি প্রার্থী বেশি টেকানো হলে কাট মার্কসও কমে যায়। যেমন ১২-১৩ হাজার প্রার্থী টেকানো হলে কাট মার্কস যদি ১১৫ থেকে ১২০ নম্বরের মতো হয়, তবে ১৮-১৯ হাজার প্রার্থীর বেলায় কাট মার্কস ১১০ থেকে ১১৫ নম্বরেও নেমে আসতে পারে।</p> <p style=\"text-align:left\"><strong>কোনো নির্দিষ্ট ক্যাডারের পদ পূরণ : </strong>ক্যাডারগুলোর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদ পূরণ করতে যেন মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রার্থী পাওয়া যায়, কাট মার্কস নির্ধারণে এ বিষয়ও বিবেচনা করা হতে পারে। যেমন—</p> <p style=\"text-align:left\">৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে লাইভস্টক ক্যাডারে ২১০টি পদ এবং কারিগরি শিক্ষা ক্যাডারে ৩৫৫টি পদ অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। তাই এই পদগুলো পূর্ণ করার জন্য প্রিলিতে তুলনামূলক বেশি প্রার্থী রাখা হতে পারে।</p> <p style=\"text-align:left\"><strong>প্রশ্নের মান :</strong> প্রশ্নের মান সহজ হলে কাট মার্কস সাধারণত বাড়ে, কঠিন হলে কমে। ৩৮ ও ৪৩তম বিসিএসের তুলনামূলক সহজ প্রশ্নে আনুমানিক কাট মার্কস ছিল ১১০+ বা -। অন্যদিকে ৪০ ও ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হওয়ায় কাট মার্কস কম ছিল। ৪৪তম বিসিএসে বাংলা, সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি অংশ তুলনামূলক সহজ ও রিপিট প্রশ্ন হলেও গণিত এবং সাধারণ বিজ্ঞানের প্রশ্ন অন্যবারের চেয়ে কঠিন হয়েছে, কম্পিউটার অংশও তুলনামূলক কঠিন ছিল। তাই কাট মার্কস ৪৩তম প্রিলির কাছাকাছি হতে পারে বা সংখ্যায় কম টেকানো হলে ৫ থেকে ৭ নম্বর বাড়তেও পারে।</p> <p style=\"text-align:left\"><strong>নন-ক্যাডারে সুপারিশ :</strong> নন-ক্যাডার নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০১০ (সংশোধিত ২০১৪) অনুসারে বিসিএস উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত নয়, এমন প্রার্থীদের নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এখন আগের বিসিএসের তুলনায় অধিক প্রার্থীদের প্রিলিতে উত্তীর্ণ করা হতে পারে।</p> <p style=\"text-align:left\"><strong>পিএসসির বিশেষ সিদ্ধান্ত :</strong> বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের রিকুইজিশন বা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পিএসসি কর্তৃপক্ষ প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা কমাতে বা বাড়াতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে কাট মার্কসও ওঠানামা করতে পারে।</p> <p style=\"text-align:left\"><strong>কাট মার্কস : </strong>আগের অভিজ্ঞতা ও এবারের প্রিলি প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে বলা যায়, ১৫, ১২ ও ১৮ হাজারের মতো প্রার্থীকে উত্তীর্ণ করানো হলে কাট মার্কস যথাক্রমে ১১৫+/-, ১১৮+/-, ১১২+/- হতে পারে।</p> <p style=\"text-align:left\"><strong>দ্রষ্টব্য : </strong>সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরের একমাত্র নির্ধারক বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। ফলে কোনো প্রার্থীর সঠিক প্রাপ্ত নম্বর জানা সম্ভব নয়। তাই প্রার্থীদের উত্তীর্ণের সর্বনিম্ন নম্বর (কাট মার্কস) নির্দিষ্ট করে বলা যায় না, শুধু সম্ভাব্যতা অনুমান করা যায়।</p> </div>