সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইডটকো বাংলাদেশ সম্প্রতি বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কক্সাজারের রামু ও কুতুবদিয়াতে প্রথমবারের মতো 'সোলার ল্যাম্প' সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছে।

এই প্রকল্পের আওতায় কমিউনিটির অধিবাসীদের সুবিধার্থে রাতের বেলায় রাস্তা আলোকিত রাখতে ইডটকো টাওয়ারের নিকটবর্তী স্থানে দুটি সৌরবিদ্যুৎচালিত স্ট্রিট ল্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে, যা প্রকল্প এলাকার ২৮০০-এর বেশি অধিবাসীর উপকারে আসবে।

প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রতিষ্ঠানিটর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিকি স্টেইন বলেন, 'ইডটকোর টাওয়ারগুলোর নিকটবর্তী এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জীবনমান উন্নয়নের কথা আমরা সব সময় অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকি।   সৌরশক্তি কাজে লাগিয়ে সোলার ল্যাম্প প্রজেক্টের মতো টেকসই ও কার্যকর সলিউশন স্থাপনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

বিজ্ঞাপন

আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি এমন সব অঞ্চলে ভবিষ্যতে এই সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম বিস্তৃতির মাধ্যমে অর্থবহ ও টেকসই পরিবর্তন আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। '

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রিকি স্টেইন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড প্ল্যানিং ডিরেক্টর ইশরাত জেরিন, ইডটকো বাংলাদেশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় কমিউনিটি এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইডটকো গ্রুপ টেকসই উন্নয়নের বৃহৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে তিনটি 'কমিউনিটি পিলার'-এ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এগুলো হলো  'টাওয়ার টু কমিউনিটি' কার্যক্রম, যার মাধ্যমে 'ত্রাণ' এবং 'দুর্যোগকালীন সহায়তা' দেওয়া হয়; 'টাওয়ার টু পাওয়ার' কার্যক্রম, যার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাসস্থানে বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এবং 'টাওয়ার টু ওয়াটার' কার্যক্রম, যার মাধ্যমে নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা হয়। বিভিন্ন দেশে ইডটকোর টাওয়ারগুলোর নিকটবর্তী এলাকার সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক পর্যায়ের অধিবাসীদের জীবনমানের উন্নয়ন করাই এ উদ্যোগগুলোর মূল লক্ষ্য।

সৌরবিদ্যুৎচালিত স্ট্রিট ল্যাম্প উদ্যোগ ইডটকো বাংলাদেশের 'টাওয়ার টু পাওয়ার' প্রকল্পের একটি অংশ। ২০১৬ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রকল্পটি এখন পর্যন্ত বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে চার হাজারেরও বেশি পরিবারের জীবনমানের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।