<p>যৌন হেনস্তার অভিযোগে ডিরেক্টর্স গিল্ড থেকে সাসপেন্ড করা হল পরিচালক ও অভিনেতা অরিন্দম শীলকে। তাকে পাঠানো হয়েছে নোটিস। মেইল মারফত অরিন্দম শীলকে এই সাসপেনশনের নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।</p> <p>ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। যার প্রাথমিক প্রমাণ রয়েছে এবং তা অত্যন্ত উদ্বেগের। এমন অভিযোগ সংগঠনের পক্ষে ক্ষতিকর। সেই কারণেই ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালককে সাসপেন্ড করা হচ্ছে অথবা যতদিন না পর্যন্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হচ্ছে, ততদিন এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।</p> <p>এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে গণমাধ্যমকে পরিচালক জানান, বিষয়টি ‘একটি খুনির সন্ধানে’ সিনেমার সেটে হয়েছে। সাহেব ও অভিযোগকারী অভিনেত্রীকে তিনি একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। তা একটি ‘চিট শট’ ছিল। পরিচালক শট বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। সেই সময় ‘অ্যাক্সিডেন্টালি’ পরিচালকের মুখ অভিনেত্রীর গালে লেগে যায়। আর সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃতভাবেই হয়েছিল। তখনও এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া হয়নি।</p> <p>পরিচালকের পালটা অভিযোগ, শুটিং নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছিল। তার অনেক পরে তিনি জানতে পারেন যে অভিযোগকারী অভিনেত্রী তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ জানিয়েছেন। মহিলা কমিশনেও তিনি গিয়েছিলেন। নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে লিখিত দিতে বলা হয়েছিল। অরিন্দম জানান, অনিচ্ছাকৃতভাবেই যে ঘটনাটি ঘটেছে তা তিনি লিখিতভাবেই দিতে যাচ্ছিলেন। তাতে অভিনেত্রী রাজি ছিলেন না। তখন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুরোধে তিনি অনিচ্ছাকৃত শব্দটি বাদ দেন। সেটিই এখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিচালক জানান, বিষয়টি আইনজীবীদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। তার পর সিদ্ধান্ত নেবেন।</p>