<p>আর জি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদে মুখর গোটা ভারত। চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যায় ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গ। এরই মধ্যে নতুন করে তোলপাড় ফেলেছে হেমা কমিটির রিপোর্ট। আর জি কর-কাণ্ডের ঘটনার পর হেমা কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্তার একের পর এক অধ্যায়। যেগুলো বেশ নাড়া দিয়েছে গোটা ভারতের বিনোদনপ্রেমীদের। রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে গোটা ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি। </p> <p>এর পরই যৌন হেনস্তা ইস্যুতে একের পর এক অভিনেত্রী তুলছেন বিস্ফোরক অভিযোগ। এবার মালয়ালম সিনেমার জনপ্রিয় তারকা নিভিন পৌলির বিরুদ্ধে এক নারীর অভিযোগ, বড়পর্দায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত বছর দুবাইয়ের একটি হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন নিভিন। আরও অভিযোগ রয়েছে, শুধু একা নিভিন পৌলি নয়। ওই নারীর উপর যৌন হেনস্থা চালিয়েছিলেন এক প্রযোজক ও আরও চার ব্যক্তি!</p> <p>যদিও এই ধর্ষণের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা বলে জানিয়েছেন নিভিন। সেই সঙ্গে অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জোর গলায় জানান তিনি। জানা গেছে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা ওই নারী এরনাকুলাম জেলার বাসিন্দা।  </p> <p>গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রোফাইলে একটি পোস্ট করে নিজের বক্তব্য পেশ করেন নিভিন পৌলি। লেখেন, “জানতে পারলাম এক নারীকে যৌন হেনস্থা কারার অভিযোগ উঠেছে আমার বিরুদ্ধে। দয়া করে জেনে রাখুন ওই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। এতটুকুও সত্যতা নেই সেই অভিযোগে। এই অভিযোগ যে ভুয়া তা প্রমাণ করার জন্য যেখানে যেতে হয় যাব, যা করতে হয় করব। এর শেষ দেখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। আইন অনুযায়ী এগোনো হবে এই বিষয়ে।” </p> <p>গত ১৯ আগস্ট প্রকাশ্যে আসা হেমা কমিটির রিপোর্ট তোলপাড় ফেলে দেয় গোটা ভারতে। অভিনেত্রীরা ইন্ডাস্ট্রির সুপরিচিত ব্যক্তিত্বদের হাতে নির্যাতিত-শোষিত হওয়ার ঘটনা সেখানে তুলে ধরা হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে ধামাচাপা পড়ে থাকা এই রিপোর্টে মালয়ালম সিনেমায় নারীদের ক্রমাগত যৌন হেনস্তার বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে, যার ফলে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে। কেরালা সরকার হেমা কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে।</p>