<p>ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-ক্যাবের (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শমী কায়সার। </p> <p>মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সংগঠনের প্যাডে ই-ক্যাবের নির্বাহী পরিষদ বরাবর এক লেখা চিঠির মাধ্যমে তিনি পদত্যাগ করেন। শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি পদত্যাগ করছেন বলে চিঠিতে জানানো হয়। </p> <p>মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ই-ক্যাবের ফিন্যানশিয়াল সেক্রেটারি আসিফ আহনাফ শমী কায়সারের পদত্যাগের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।</p> <p>শমী কায়সার তার পদত্যাগপত্রে লেখেন, বিগত তিন মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ই-ক্যাবকে শক্তিশালী অ্যাসোসিয়েশনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সভাপতি হিসেবে আমি কোনো আর্থিক লেনদেনে জড়িত ছিলাম না। শুধু নীতিগত পর্যায়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জড়িত ছিলাম।</p> <p>২০১৮ সাল থেকে ই-ক্যাবের সভাপতির পদে রয়েছেন শমী কায়সার। ২০২২ সালে সংগঠনটির প্রথম নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বাধীন প্যানেল জয় পায়। ই-ক্যাবের ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল গত ২৭ জুলাই। এতেও শমী কায়সারের নেতৃত্বে একটি প্যানেল ছিল। তবে দেশের পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। </p> <p>আওয়ামী লীগ সরকারপন্থী হিসেবে শমী কায়সারের পরিচিতি রয়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকেই শমী কায়সারের নেতৃত্বাধীন কমিটির পদত্যাগের দাবি করছিলেন একাধিক ই-ক্যাব সদস্য। আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলও বর্তমান ই-ক্যাব নেতাদের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। শমী কায়সারের পদত্যাগের পর সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ সভাপতি শাহাব উদ্দিনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।</p>