<p>কোটা আন্দোলন থেকে রূপ নেওয়া অসহযোগ আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয় গণ-উল্লাস। সৃষ্টি হয় এক নতুন ইতিহাসের। সারা দেশে বিশেষ করে রাজধানীতে বিজয় উল্লাস করতে দলে দলে নেমে আসে দেশের সব পেশার সাধারণ মানুষ। এই বিজয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত দেশের তারকারাও। কেউ কেউ নেমে এসেছেন মাঠে। কেউ বা সামাজিক মাধ্যমে দিচ্ছেন বিজয় বার্তা। </p> <p>দেশের জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর বলেন, সন্তানদের মেধা বাংলাদেশের সেরা সম্পদ। এই বাংলাদেশ পরিচালিত হতে হবে মেধাবী দেশপ্রেমিকদের মাধ্যমে। ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয় দেখেছে বাংলাদেশ। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য আমাদের আরো সতর্ক থাকতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে বেরিয়ে, সব বিভক্তি কাটিয়ে জাতিকে হতে হবে ঐক্যবদ্ধ। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতিই পারে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে।</p> <p>ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে আসিফ বলেন, আমাদের সন্তান এই বিজয়ী ছাত্রসমাজের স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে। শহীদ ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তোমাদের অপেক্ষায় ছিলাম, হতাশ হইনি। বিশ্বাস ছিল এই তারুণ্যই একদিন সব অচলায়তন ভেঙে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়বে। তোমাদের অভিনন্দন জানাই একজন গর্বিত বাবা হিসেবে। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। সবুজের বুকে লাল/সে তো উড়বেই চিরকাল। বাংলাদেশ। ভালোবাসা অবিরাম।</p> <p>গতকাল (৫ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণভবন অভিমুখে যাত্রা ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ও রূপরেখা প্রণয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। </p> <p>পদত্যাগের পর দুপুর আড়াইটার দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তাঁর সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। ভারত থেকে তিনি ইউরোপের কোনো দেশে বা লন্ডন যেতে পারেন বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছেন বলে খবর দিচ্ছে ভারতের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।</p>