<p>কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত এক সপ্তাহ ধরে চলমান নৈরাজ্য-সহিংসতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চলছিল। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দুষ্কৃতকারীদের নাশকতা ও সহিংসতার কারণে দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে কারফিউ জারি করে সরকার। এখনো কারফিউ চলছে। তবে কমে এসেছে সময়সীমা। বাড়ানো হয়েছে শিথিল করার সময়সীমা। যেমন আজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা অবধি কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। বন্ধ থাকা ইন্টারনেটও চালু করা হয়েছে স্বল্প পরিসরে। এরমধ্যে অফিস আদালতও খুলেছে। আজ সকাল ১১ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত অফিস চলেছে। সবকিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা হলেও খোলেনি দেশের সর্ববৃহৎ মাল্টিপ্লেক্স চেইন স্টার সিনেপ্লেক্স। গত ১৮ ও ১৯ জুলাই সহিংসতার কারণে শো বাতিল করা হয়। তারপর থেকে দেশে চলছে কারফিউ। মোতায়েন করা হয়েছে সেনা সদস্য। স্বাভাবিকভাবেই সবকিছুর মতো বন্ধ আছে সিনেপ্লেক্সও।</p> <p>কবে নাগাদ খুলবে এই মাল্টিপ্লেক্স? প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (মিডিয়া ও বিপণন) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘টানা এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ আছে। মানুষের মনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত আসলে বিনোদন অঙ্গন চাইলেও হয়তো সচল হবে না। তবে এসব ঘটনায় গেল ঈদ থেকে সিনেমা হলে দর্শকের একটা জোয়ার তৈরি হয়েছিল সেটা বাধাগ্রস্থ হলো।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়। তাই ইন্টারনেট স্বাভাবিক গতি না আসা পর্যন্ত আমাদের হল চালু করে লাভ হবে না। তারচেয়ে বড় বিষয় জনমনে স্বস্তি ফিরলেই তবেই হলমুখী হবেন দর্শক।’</p> <p>এদিকে কারফিউ শুরু হওয়ার পর থেকে সিনেপ্লেক্সে অফিস করছেন না কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীল আগামীকাল তারা নিয়ম মেনে অফিস করবেন। তাই কালই সিদ্ধান্ত হবে কবে নাগাদ চালু হবে দেশের এই মাল্টিপ্লেক্স।</p> <p>জানা গেছে, ‘তাদের এখন সাতটি শাখা সচল রয়েছে। এতে চালু রয়েছে ১৯ টি প্রেক্ষাগৃহ। সবগুলোতেই দেশী বিদেশী সিনেমা চলছিল। দর্শকের জোয়ারে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটিয়ে দিলো এই আন্দোলন ও কারফিউ।</p>