<p>একসময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী ঈশা কোপিকার বর্তমানে লাইমলাইট থেকে অনেকটাই দূরে আছেন। সম্প্রতি স্বামী টিম্মি নারাংয়ের সঙ্গে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘদিনের দাম্পত্যে ইতি টানেন অভিনেত্রী। এবার এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন তিনি। তবে সেটি তার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, এই অভিজ্ঞতা তার কর্মক্ষেত্রে অর্থাৎ বলিউডে। </p> <p>সম্প্রতি অভিনেত্রী তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কিছু মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, যখন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে ঈশা একটি ঘটনা সম্পর্কে কথা বলার সময় বলেন যে একজন প্রথম সারির অভিনেতা তার সঙ্গে একা দেখা করার জন্য যোগাযোগ করেছিলেন। তবে তিনি কারো নাম প্রকাশ করেননি।</p> <figure class="image"><img alt="1" height="553" src="https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/b/bc/Isha_Koppikar.jpg" width="400" /> <figcaption><sup><em>ঈশা কোপিকার</em></sup></figcaption> </figure> <p>১৮ বছর বয়সে কাস্টিং কাউচের শিকার হন ঈশা, যখন তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন ছিলেন। এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “একজন অভিনেতা আমাকে আমার ড্রাইভার বা অন্য কাউকে ছাড়াই একা তার সাথে দেখা করতে বলেছিলেন। আমাকে একা দেখা করার কারণ, তখন গুজব ছিল যে তিনি অন্যান্য অভিনেত্রীর সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক রয়েছে এবং কর্মীরা গুজব ছড়াচ্ছে।’ কিন্তু আমি তাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম এবং তাকে বলেছিলাম যে আমি একা আসতে পারব না। তিনি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এ-লিস্ট অভিনেতা ছিলেন। সেই সময় আমার বয়স প্রায় ২২-২৩ বছর হবে।”</p> <p>ঈশা আরো বলেন যে তাদের মধ্যে অনেকেই তাকে স্পর্শ করেছিল এবং অপ্রীতিকর উপায়ে নায়করা তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিল। ঈশা বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১৮ বছর, তখন একজন ম্যানেজার এবং একজন অভিনেতা আমার কাছে এসেছিলেন। তারা আমাকে বলেছিলেন যে কাজ পেতে হলে আপনাকে অভিনেতাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। আমি খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ, কিন্তু বন্ধুত্বপূর্ণ বলতে কী বোঝায়? আমি এতটাই বন্ধুত্বপূর্ণ যে একতা কাপুর একবার আমাকে অ্যাটিটিউড রাখতে বলেছিলেন।’</p> <p>ঈশা আরো বলেন, ‘২০০০ সালের মাঝামাঝি সময়ে একজন বিখ্যাত প্রযোজক আমায় বলেন যে আমার হিরোর গুডবুকে থাকা জরুরি। আমি বুঝিনি যে তিনি কী বলতে চান। তাঁর কথামতো আমি ঐ হিরোকে ফোন করি। সে আমায় একা দেখা করতে বলে, এমনকি আমার স্টাফরাও যেন সঙ্গে না যায়। সে সময় সেই হিরোর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ ছিল। এই প্রস্তাব পাওয়ার পরই আমি প্রযোজককে ফোন করে বলি, আমি নিজের ট্যালেন্ট আর লুকের জন্য ছবিতে চান্স পাই, এগুলো কি যথেষ্ট নয়! এর পরই ওই ছবি থেকে আমি বাদ পড়ি।’</p> <p>বর্তমানে বলিউড থেকে দূরে রয়েছেন ইশা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় তিনি। ২০০৯ সালে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী টিম্মি নারাংকে বিয়ে করেন ইশা। তাদের এক কন্যাসন্তানও রয়েছে। গত বছর দাম্পত্যজীবন শেষ করেন। রাজনীতিতেও নাম লিখিয়েছেন ইশা। কেন্দ্রীয় সরকারের উইম্যান ট্রান্সপোর্ট শাখার সভাপতি তিনি।</p>