<p>শিল্পীদের গাবতলী গরুর হাটে চাকরি দেবেন ডিপজল, এমন একটি বক্তব্য মিশা সওদাগরের মুখে শোনার পর থেকে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তবে এই বিষয়টি একেবারেই অবান্তর বলে উল্লেখ করেছেন অভিনেতা।</p> <p>সম্প্রতি শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেছেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল শিল্পীদের গাবতলী গরুর হাটে চাকরি দেবেন। এমন সংবাদ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর পর থেকেই নানা মহলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ডিপজলের সঙ্গে যোগাযোগ কো হলে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এ কথা আমি কেন বলব! একজন শিল্পী হয়ে আরেকজন শিল্পীকে কি এমন কথা বলতে পারি? এ ধরনের কথা অবাস্তব ও অবান্তর।</p> <p>তিনি সরাসরি এ বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বলেন, শিল্পীদের কাজ সিনেমা করা। সিনেমা বাদ দিয়ে তারা অন্য কোনো কাজ করেন না, করতে চান না। কেউ করে থাকলে, সেটা একান্ত তার নিজের ব্যাপার। প্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের কেউ কেউ অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্য পেশায় যুক্ত। তার মানে এই নয় যে তারা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তাদের মূল পরিচয় শিল্পী। সমিতির প্রত্যেক সদস্যই শিল্পী। এখন সিনেমায় কাজ কমে যাওয়ায় অনেকে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তার মানে এই নয় তিনি শিল্পীসত্তা বাদ দিয়ে অন্য পেশায় যুক্ত হতে চান। শিল্পী হিসেবে তার আত্মমর্যাদা রয়েছে। সিনেমার মাধ্যমেই এই মর্যাদা ধরে রাখতে চান।’</p> <p>ডিপজল বলেন, আমি সারা জীবন শিল্পীদের সম্মান, মর্যাদা ও অধিকারের ব্যাপারে কাজ করেছি এবং আমৃত্যু করে যাব। একজন শিল্পীর মর্যাদা ও তার শিল্পীসত্তা সম্পর্কে আমি জানি। আমি শিল্পী হয়ে আরেকজন শিল্পীকে অন্য পেশা বেছে নেওয়ার কথা বলা দূরে থাক, চিন্তাও করি না।</p> <p>তিনি বলেন, আমার বরাত দিয়ে মিশা বা অন্য কেউ ‘গরুর হাটে চাকরি দেব’ বলে যে কথা বলা হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা আমি করছি। আমার সঙ্গে এ ব্যাপারে কারো কোনো কথা হয়নি। ফলে যে কথাটি বলা হয়েছে, তা আমার নয়। এ ধরনের কথা অন্তত আমি বলতে পারি না। শিল্পীদের জায়গা শিল্পে, সিনেমায়। সেখানেই তার জায়গা, অন্য কোথাও নয়। আমি যদি পারি, সে জায়গায় সুযোগ করে দিতে, তাহলে তা-ই করব। অতীত থেকে শুরু করে এখনো আমি আমার সিনেমায় শিল্পীদের সুযোগ করে দিয়েছি, দিচ্ছি, ভবিষ্যতেও দেব। শিল্পীদের নিয়ে এর বাইরে কিছু ভাবি না।</p> <p>ডিপজল বলেন, আমি খুবই মর্মাহত হয়েছি, আমার বরাত দিয়ে যে কথা বলা হয়েছে। যারা এ কথা বলেছে, এর দায় তাদের। তারা এ ধরনের চিন্তা করতে পারে। আমি করি না। আমি সব সময়ই শিল্পীদের পেশাগত কাজের পাশে ছিলাম, আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। এর বাইরে তাদের নিয়ে অন্য কোনো চিন্তা করি না।</p> <p>বর্তমানে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নিয়ে। এর বড় কারণ, পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের ফলাফল মেনে নিয়ে আবার আদালতে রিট করা। যার ফলে আদালত থেকে ছয় মাসের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের আইনি লড়াই চলছে।</p> <p> </p>