<p style="margin-bottom:13px">এক বছর আগে আজকের দিনে বিদায় নিয়েছেন মিয়াভাই খ্যাত অভিনেতা ফারুক। তার বিদায় চলচ্চিত্রের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ফারুকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে কথা বলেছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও তার অসংখ্য চলচ্চিত্রের নায়িকা ববিতা। তিনি জানিয়েছেন অভিনেতা ফারুককে নিয়ে নানা কথা। জানিয়েছেন আফসোস।</p> <p>গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “একটি বছর পার হলো। স্মৃতিতে অম্লান আমাদের এই কিংবদন্তি। আমাদের সুদীর্ঘকালের বন্ধু, প্রিয় নায়ক ফারুক আর পৃথিবীতে নেই–এটি বিশ্বাস করে ওঠা আসলেই কষ্টকর। নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ সিনেমায় তার সঙ্গে ছিল আমার প্রথম অভিনয়। সিনেমায় ফারুক ভাইয়ের ছোট একটি চরিত্র ছিল। সেটেই হয়েছিল দুজনের পরিচয়। প্রথমে ততটা চেনাজানা ও বন্ধুত্ব না থাকলেও চলচ্চিত্রে কাজের সুবাদে ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরপর ৪০টির মতো সিনেমায় তার বিপরীতে কাজ করেছি। বেশির ভাগ ছবিই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘লাঠিয়াল’, ‘মিয়াভাই’, ‘সূর্য সংগ্রাম’, ‘প্রিয় বান্ধবী’, ‘এতিম’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’সহ অসংখ্য সুপারহিট সিনেমায় দর্শক ববিতা-ফারুক জুটি দেখেছেন।”</p> <p>তিনি বলেন, “১৯৭৬ সালে ‘নয়নমণি’ এ দেশের প্রেমের সিনেমার মধ্যে ধ্রুপদি হয়ে ওঠে। এ সিনেমার পর ফারুক-ববিতা জুটি মানেই বিশেষ কিছু হয়ে ওঠে। মাসের পর মাস সিনেমাটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছে। কয়েক যুগ পর আজও এ সিনেমার কথা মানুষ মনে করেন, কালজয়ী বোধ হয় একেই বলে! আমাদের অভিনীত সিনেমার প্রেম, বিরহ আজও দর্শকহৃদয়ে মুগ্ধতাভরা হাহাকার জন্ম দেয়। ফারুক ভাইয়ের নিজের প্রডাকশনের সিনেমাও করেছি।”</p> <p>আফসোস বা আক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘তাকে নিয়ে আমার একটা আফসোস আছে। তার মরদেহ যখন দেশে এলো, আমি তখন কানাডায় যাচ্ছি। এ কারণে শেষ দেখাটাও তার সঙ্গে হলো না। এটি আমার জন্য কষ্টের। এই আফসোস আমাকে অনেক দিন কষ্ট দেবে। সত্যি কথা বলতে কি, অভিনেতা ফারুকের অভিনয়গুণ সম্পর্কে সবাই জানেন। এ নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাই না। নায়ক ফারুকের ব্যক্তিত্ব ছিল অনুসরণীয়। ব্যক্তি ফারুককে বাইরে থেকে দেখলে মনে হতো খুব রাগী, জেদি, ভয়ংকর। আসলে তিনি মোটেও সে রকম ছিলেন না। কোনো কোনো সময় খুব রেগে কথা বলতেন, তাই বলে অনেকেই ভাবতেন তিনি একজন রাগী মানুষ। নরম মনের মানুষটি আমাদের সব শিল্পীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন। সবারই একদিন চলে যেতে হবে। আজ অথবা কাল।’</p>