<p style="margin-bottom:13px">গল্পটা ১৯৭১ সালের আগস্টের। ওই সময় দেশজুড়ে গোলাগুলি, অগ্নিসংযোগ, আতঙ্ক। ওই আতঙ্কের মধ্যেই শহর থেকে প্রাণ বাঁচাতে গোপালপুর আসে ২২ বছর বয়সী মেডিক্যালের ছাত্রী জয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুমন ও জয়াদের বাসার গৃহকর্মী সুলেখাবু। কারণ, এই গ্রামে রয়েছে জয়ার পূর্বপরিচিত মুনির সাহেব।</p> <p>তার একমাত্র কন্যা শিরিনের সহযোগিতা ও সংস্পর্শে গ্রামের পরিবেশে জয়ারা থাকতে শুরু করে। একটা সময় জয়া জানতে পারে, মুনির আহমেদ শান্তি কমিটির নেতা। তার আদর্শ পাকিস্তানের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে।</p> <p>অন্যদিকে কিশোরী শিরিনের উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ পালন করা। দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করা, দেশ স্বাধীন করা। কিন্তু পিতার চোখ ফাঁকি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা প্রায় অসম্ভব। বাড়িতে আশ্রিত তিনজনসহ শিরিনকে মুক্তিযুদ্ধে যেতেই হবে। এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘শিরিনের একাত্তর যাত্রা’। এটি নির্মাণ করেছেন সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক দীপক চৌধুরী। চিত্রনাট্যও তারই। স্বল্পদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ে আছেন লাবণ্য চৌধুরী, সাদমান, তাহমিনা অথৈ, শহীদুল আলম সাচ্চু, শিরিন আলম, সাবিনা রনি, আমজাদ সুমন, মাস্টার তাফসীর প্রমুখ।</p> <p>নির্মাতা বললেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি রণাঙ্গনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুদ্ধ করেছেন নারী মুক্তিযোদ্ধারাও। নারী মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রসদ, গোলাবারুদ, অস্ত্র পৌঁছে দিয়েছেন মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে। আবার অস্ত্র হাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শামিল হয়েছেন সম্মুখ সমরে। আমি শিরিনের মাধ্যমে সেই গল্পের কিছুটা তুলে ধরেছি।’</p> <p>নির্মাতা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সিনেমাটি আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে। শিগগির এটি মুক্তি দেওয়া হবে।</p>