উড়োজাহাজে ফারুকী ও তিশা
ফ্রান্সে শুরু হয়েছে বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী আসর 'কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২২'। এই আসরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব’-এর ট্রেলার। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এখন প্যারিসে রয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা।
মঙ্গলবার (১৭ মে) রাতের একটি ফ্লাইটে সেখানে গেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এই দুনিয়ায় যে কেউ যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান দিয়ে থাকেন উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, ‘‘বেবিসিটিং’ কথাটার জোক নিয়া ব্যাপারটা এত দূর গড়াইছে যে, কেউ কেউ আগ বাড়াইয়া শিক্ষাও দিচ্ছে যে বাচ্চা বড় করা মায়ের একা দায়িত্ব না। আপনি পিতৃতান্ত্রিকতা থেকে বের হয়ে আসেন। আই মিন সিরিয়াসলি পিপল! দুনিয়াটা এক আজব জায়গা হয়ে গেছে। এখানে যে কেউ যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান দিতে পারে। আমার ইনবক্স প্রিন্ট করলে এটা মোটামুটি একটা টেক্সটবুক হয়ে যাবে। আমাদের ঘরের ভেতর কী হয়, বাচ্চা বড় করার ক্ষেত্রে কার কী রোল- এসব না জেনেই আমরা শিক্ষকের ভূমিকায় বসে যাই। ’’
ফারুকী বলেন, ‘বাংলাদেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা হলিউড বা বলিউডের মতো অর্থ বা সাপোর্ট সিস্টেম পায় না। ফলে একজন অভিনেত্রী মা হওয়ার পর তার কাজে ফিরতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু তিশা বেশিদিন কাজ থেকে দূরে থাকতে চাননি। আমিও চাই না তিশা কাজ থেকে দূরে থাকুক। ফলে ওর কোনো কাজ এলে আমি আমার কাজ বন্ধ করে ইলহামকে অ্যাটেন্ড করতে চাই। ’
ডুব নির্মাতা বলেন, ‘‘মুশকিল হলো প্রডাকশনগুলো এই বাড়তি হ্যাপা নেওয়ার জন্য খুব যে তৈরি তা বলা যাবে না। তার পরও কাজের বা ট্যুরের কথা এলে তিশা বলে, ‘আমাদের বেবিসিটার নিতে দিতে হবে। বেবিসিটারের জন্য ভ্যান বা টিকিট বা হোটেলের ব্যবস্থা করতে হবে, যত দিন না ইলহাম কিছুটা শক্ত-সামর্থ্য হচ্ছে। ’ আমি সব সময় হাসিমুখে বলি, বেবিসিটার কোঠায় আমাকে ইনক্লুড করো আর তা করো বলেই আমি যাচ্ছি। ’’
ওই পোস্টে পাল্টা প্রশ্ন করে ফারুকী লেখেন, ‘বাচ্চা বড় করার দায়িত্ব মায়ের একা এটা কোথায় পাইছেন? আমার আগের লেখাটা ধরে কেউ কেউ বলছে, কেন আপনি নিজেকে হেল্পিং হ্যান্ড বলছেন? ভাই রে ভাই, জীবনে কিছুটা বিনয় ভালো। আমি চব্বিশ ঘণ্টা বাচ্চাকে অ্যাটেন্ড করলেও সেটা বড় করতে রাজি না। আর চব্বিশ ঘণ্টা অ্যাটেন্ড করলেও আমার কাছে এই মুভির স্টারিং রোল অলওয়েজ মা। বাবা কেবল সাপোর্টিং রোলের ক্রেডিটই পাইতে পারে। ঈশ্বর আমাদের ধৈর্য দিন, আমিন। ’