সম্প্রতি ফেনীতে এক কনসার্টে মঞ্চ ত্যাগ করতে বাধ্য হন নব্বই দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী হাসান। ব্যান্ডদল আর্কসহ পরিবেশনায় মঞ্চে উঠলে সাউন্ড সমস্যার কারণে দর্শকেরা হাসানকে ভুয়া ভুয়া বলে দুয়ো দিতে থাকে। একটা সময় হাসান মঞ্চ থেকে নেমে যান।
নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় এই গায়কের সঙ্গে এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভক্তরা।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। জামিল নামের আরেকজন লিখেছেন, 'এজন্যই আর হাসান, জেমস, আইয়ুব বাচ্চুর মতো শিল্পি আর জন্মাচ্ছে না। '
লিমন নামের একজন বলছেন, 'গ্রামের পোলাপান এসবের নামই শুনে নাই। গান না শুনলে কনসার্ট ভালো লাগবেনা স্বাভাবিক। এদের এখানে শিরোনামহীন,ওয়ারফেজ এরা গেলেও সেইম। এমনি পপুলার গানগুলো গাইলে হইতো। এদের জন্যে ব্যান্ড না। আর যেহেতু ফ্রি সেহেতু সবাই গেছে। '
সাইফুল বলছেন, 'ব্যাপারটা মানার মতো নয়, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। '
ফাইয়াজ নামের একজন বলছেন, 'ওরা মেশিন সংগীত জামানার শ্রোতা, এসব ফাউলদের কথায় কি আসে যায়। '
হাসানের প্রকৃত নাম সৈয়দ হাসানুর রহমান। তার মোট গানের সংখ্যা ২০০ এর বেশি। তিনি ১৯৯৩ সালে ব্যান্ডদল আর্কে ভোকালিস্ট হিসাবে যোগ দেন এবং ব্যান্ডে থাকা অবস্থায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে আর্ক ব্যান্ড ছেড়ে দিয়ে নতুন ব্যান্ড "স্বাধীনতা" গঠন করেন। ২০০৪ সালে তিনি "জন্মভূমি" নামের আরেকটি ব্যান্ড গঠন করেন। ২০১০ সালের শেষের দিকে তিনি আবার আর্কে যোগ দেন।
হাসানের সঙ্গীত জীবনের উত্থান আকস্মিক। একদিন বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতাঙ্গনের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব আশিকুজ্জামান টুলুর সাথে তার পরিচয় হয়। হাসানের গান শুনে তিনি মুগ্ধ হলেন এবং তাকে প্রস্তাব করলেন যে, বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে ইংরেজি গানের সুরে বাংলা গানের একটা কমার্শিয়াল ক্যাসেট বের করা হবে, এ জন্যে তাকে গান গাইতে হবে। হাসান প্রস্তাব মেনে নিয়ে গান গাইলেন। প্রথম অ্যালবাম কপিয়ার অতটা জনপ্রিয়তা না পেলেও দ্বিতীয় অ্যালবাম কপিয়ার-২ অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচণ্ড হিট হয়ে গেল।
হাসানকে এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। জেমস হাসান আইয়ুব বাচ্চু ত্রয়ী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন।