<p>একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে অন্য কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের কোনো এলাকা বা অঞ্চল বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অন্তর্ভুক্ত থাকলে সে অঞ্চলকে ছিটমহল বলে। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও অন্য রাষ্ট্রের (ভারতের) এ ধরনের ছিটমহল রয়েছে। ২০১৫ সালের পয়লা আগস্টের আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের আর ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের সর্বমোট ১৬২টি ছিটমহল ছিল।</p> <p>২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী এসব ছিটমহলে বসবাসরত জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫১ হাজার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের ছিটমহলে ৩৭ হাজার এবং ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহলের ১৪ হাজার। মোট জমির পরিমাণ ২৪ হাজার ২৬৮ একর। তার মধ্যে ভারতের জমির পরিমাণ ১৭ হাজার ১৫৮ একর এবং বাংলাদেশের জমির পরিমাণ ৭ হাজার ১১০ একর।</p> <p>২০১৫ সালের পয়লা আগস্ট রাত ১২টা ১ মিনিটে দুই দেশের (ভারত ও বাংলাদেশ) অভ্যন্তরে থাকা নিজেদের ছিটমহলগুলো পরস্পরের সঙ্গে বিনিময় করে। ছিটমহল বিনিময়ের এই চুক্তি হয়েছিল ১৯৭৪ সালের মে মাসে দুই দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে। এই বিনিময়ের ফলে বাংলাদেশ পায় লালমনিরহাটে ৫৯টি, পঞ্চগড়ে ৩৬টি, কুড়িগ্রামে ১২টি, নীলফামারীতে ৪টিসহ মোট ১১১টি ছিটমহল। অন্যদিকে ভারত পায় বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল, যাদের অবস্থান ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এর মধ্যে ৪৭টি কোচবিহার ও ৪টি জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত ছিল। এ বিনিময়ে বাংলাদেশের ১০ হাজার ৪৮ একর জমি বৃদ্ধি পায়।          </p> <p> </p>