<p>জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিসহ ২৬ জনের ফাঁসির দড়ি টানা আলোচিত সেই ‘জল্লাদ’ শাহজাহান মারা গেছেন। সোমবার (২৪ জুন) ভোর সাড়ে ৫টায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।</p> <p>আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান দীর্ঘ ৩২ বছর ছয়মাস দুইদিন কারাভোগের পর গত বছরের ১৮ জুন বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1291051"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শাহজাহান যেভাবে প্রধান জল্লাদ হয়ে ওঠেন" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2023/06/18/1687075636-7b13c8cfad0e60d0e4166fdfb18fb6a4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">শাহজাহান যেভাবে প্রধান জল্লাদ হয়ে ওঠেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2023/06/18/1291051" target="_blank"> </a></div> </div> <p>‘জল্লাদ’ শাহজাহানের পুরো নাম শাহজাহান ভূঁইয়া। তিনি নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে। ৭৪ বছর বয়সী শাহজাহান কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর এক তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস সংসার করার পর তাদের বিচ্ছেদ হয়।</p> <p>শাহজাহান ১৯৯১ সালে গ্রেপ্তার হন। তাকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে রাখা হয়। কারাগারে ভালো কাজ ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে জল্লাদের দায়িত্ব পালনের জন্য তার সাজার মেয়াদ ১০ বছর মওকুফ (রেয়াত) করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative" data-id="1400030"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৬০ জনকে ফাঁসি দেওয়া সেই ‘জল্লাদ শাহজাহান’ মারা গেছেন" class="img-fluid rounded-start m-0 w-100" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/06/24/1719226337-713eda604b697aa7648eb2c3e590d123.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p class="p-1 m-0 lh-sm">৬০ জনকে ফাঁসি দেওয়া সেই ‘জল্লাদ শাহজাহান’ মারা গেছেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/dhaka/2024/06/24/1400030" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পাশাপাশি শাহজাহানের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারা কর্তৃপক্ষ তার জরিমানার ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেয়। ফলে দীর্ঘ ৩১ বছর ছয়মাস দুইদিন কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দিজীবন কাটানোর পর তিনি মুক্ত হন।</p> <p>জানা গেছে, শাহজাহান ভূঁইয়ার মোট সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। তার মধ্যে তিনি ১০ বছর পাঁচ মাস ২৮ দিন রেয়াত পেয়েছেন। জীবনের সোনালি সময়গুলো তাকে এই কারাগারেই কাটাতে হয়েছে। সাজা কমাতে তিনি জেল সুপারের কাছে জল্লাদের খাতায় নাম লেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। </p> <p>সহযোগী জল্লাদ হিসেবে গফরগাঁওয়ের নূরুল ইসলামকে ফাঁসি দিয়ে শাহজাহান তার জল্লাদ জীবনের সূচনা করেন। এরপর কারাগারে কারও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় আসলেই ডাক পড়তো তার। টানা আট বছর এই কাজ করার পর কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রধান জল্লাদের স্বীকৃতি দেন।</p>