<p>৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আগামী শনিবার (১ জুন) উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের ১৯০৪টি কেন্দ্র এই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।</p> <p>আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তিনি জানান, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন ‘এ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অনুপুষ্টি। ভিটামিন ‌‌‘এ’চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী,বছরে ২ বার ভিটামিন ‌‌‘এ’ এর অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন‌‌ ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।</p> <p>ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘‌‌‘আগামী শনিবার (১ জুন) সারা দেশে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালিত হবে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস। বয়সী সকল শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিনা মূল্যে খাওয়াতে পারে। এ ছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।‌‌‌‌’’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‌‌‌‘‌‘এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এই ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের পক্ষ্যে এ কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকেই ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়েছে। সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে অণারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ভিজিলেন্স টিম নিয়োজিত থাকবেন।’’</p> <p>এবারের ক্যাম্পেইনে মোট ৫ লাখ ৭৯ হাজার ২৫৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‌‌‘তার মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সের শিশুর ১০৩৮৮৮ জন ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের ৪৭৫৩৭৯ জন শিশু। এ কার্যক্রমটি মোট ১৯০৪ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এই কাজ পরিচালনা করতে স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্যসেবী হিসেবে ৩৮০৮ জন নিয়জিত থাকবে।’</p>