ঢাকার ধামরাইয়ে সূয়াপুর ইউনিয়নের আটানিপাড়ায় এক সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় সেলিম নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবার আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানা গেছে, আটানিপাড়ায় চিত্ত মনি দাসের দোকান ঘরে সাইকেল মেরামতের কাজ করতেছিল তার ছেলে বংকু চন্দ্র মনিদাস।
বিজ্ঞাপন
খবর পেয়ে পুলিশ সেলিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সেলিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেলিমকে ছেড়ে দেওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবার সূয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থানরত চেয়ারম্যানের কাছে আশ্রয় নেয়।
এ বিষয়ে চিত্ত মনিদাস বলেন, আশুলিয়ার বাইপাইলে আজিজ ফিলিং স্টেশনের মালিক ও কুটিরচর গ্রামের প্রভাবশালী হাজি আবদুল আজিজের পক্ষ নিয়ে আমার বসতবাড়ি ও বাড়ি সংলগ্ন দোকান দখল করে নেওয়ার জন্য মারপিট শুরু করে সেলিমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী।
স্থানীয় চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহরাব বলেন, গত কয়েক দিন আগে আবদুল আজিজ কার্তিক দাসের বাড়ি ঘর ভাংচুর দখল করে নিয়েছে।
একইভাবে চিত্ত মনিদাস, হরিপদ মনিদাসের বসত বাড়ি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে। প্রকৃতপক্ষে সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি দখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে আজিজ। তার লালিত সেলিমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী সংখ্যালঘু পরিবারের তাণ্ডব চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সেলিমকে থানায় আনা হয়েছিল ঠিকই তবে তাকে প্রথমবারের মত ওয়ার্নিং দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং উভয় পক্ষকে মিমাংসার কথা বলা হয়েছে।
গত ১১ আগস্ট কালের কণ্ঠে 'ধামরাইয়ে সংখ্যা লঘু পরিবারের জমি দখল' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে আজিজের ছেলে বাদী হয়ে কার্তিক মনিদাসের নামে আদালতে মামলা করে। এ মামলায় কার্তিককে পুলিশ আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। এরপর আজিজ বাহিনী কার্তিকের পরিবারের সবাইকে মারপিট করে তাড়িয়ে দিয়ে বাড়ি ভাংচুর ও তছনছ করে দখল করে নেয়। এ সময় দখলের তাণ্ডব দেখে কার্তিকের প্রতিবেশী মুদি দোকানদার প্রদীপ চক্রবর্তী স্ট্রোক করে মারা যান।