<p>গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বাজারের আধিপত্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।</p> <p>মঙ্গলবার রাতে শ্রীপুর পৌর এলাকার ১ নম্বর সিএন্ডবি (বেড়াইদেরচালা) বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বাজারের ৬টি দোকান ভাঙচুর ও দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।</p> <p>বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রীপুর পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আজমল হোসেন শাকিল ও পৌর আওয়ামী লীগের কর্মী নূরুল আমিনের পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।</p> <p>আজমল হোসেন শাকিল জানান, তার মামা আক্তার হোসেন বাজারের ইজারাদার। ইজারা নেওয়ার পর থেকে নূরুল আমিন চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এ ঘটনায় তিনি বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগও দিয়েছেন।</p> <p>আজমল হোসেন শাকিল অভিযোগ করে বলেন, ‘নূরুল আমিন আমার কাছে এককালীন পাঁচ লাখ ও ইজারা মেয়াদকালীন প্রতি মাসে ৬০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন।’</p> <p>তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে ডেকেছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর রাত প্রায় ৯টার দিকে নূরুল আমিনের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন তাদের ওপর হামলা চালায়।</p> <p>আজমল হোসেন শাকিল দাবি করেন, ‘আমি শ্রীপুর পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। নূরুল আমিন পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য। গত ৫ আগস্টের আগেও নূরুল আমিন চাঁদা দাবি করে আসছিলেন।’</p> <p>তবে নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা বলে অস্বীকার করে নূরুল আমিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগে আমার কোনো সদস্য পদ নেই। আমি আওয়ামী লীগের ভোটার।’</p> <p>শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত চলছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>