<p>আদালত থেকে জামিনের নথি পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার মুক্তি পাননি। রবিবার (০১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন।</p> <p>ইকবাল হোসেন বলেন, ‘রবিবার বাবুল আক্তার মুক্তি পাচ্ছেন না। তার সব কয়টি মামলার কাগজপত্র আমরা হাতে পেয়েছি শেষ বেলায়। সেগুলো চেক করতে হচ্ছে। সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে তিনি সোমবার মুক্তি পেতে পারেন। আবার কোনো সমস্যা থাকলে মুক্তি না-ও পেতে পারেন।’ </p> <p>প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে কারাবন্দি বাবুল আক্তার রবিবার বিকেলে জামিনে মুক্ত হচ্ছেন- এমন খবরের পর বিকেলের পর থেকে চট্টগ্রাম কারাগারের সামনে অপেক্ষা করেন বাবুল আক্তারের স্বজনরা। কিন্তু সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মুক্ত না হওয়ায় তারা চলে যান।  </p> <p>কারাগারের সামনে বাবুল আক্তারের আত্মীয় নূরে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাবুল আক্তার জামিনে বের হবেন এমন খবর পেয়ে আমরা এসেছিলাম। কিন্তু তিনি মুক্তি পাননি। তাই আমরা চলে যাচ্ছি। কাল (সোমবার) সকালে তিনি মুক্তি পেতে পারেন।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাবুল আক্তারের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/01/1733056760-75f65f236a823e153c5ef76c9d45441e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাবুল আক্তারের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/12/01/1452710" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, বিভিন্ন কারণে আদালত থেকে জামিনের বেইল বন্ড কারাগারে পাঠাতে কিছুটা দেরি হয়। কাগজপত্র যাওয়ার পরও সময় কম থাকায় তার মুক্তি হয়নি। উচ্চ আদালত তার জামিন দিয়েছেন। স্টে অর্ডার ছাড়া তার মুক্তি কেউ আটকাতে পারে না। আর জামিন হওয়ার পরেও তিনি কারাগারে থাকাটা তো কষ্ট দেওয়া, হয়রানি করা। যে অশুভ শক্তি শুরু থেকেই কাজ করছে, এর পেছনে সেই শক্তিই এখন প্রভাব বিস্তার করছে।</p> <p>এ সময় কারাফটকের সামনে উপস্থিত ছিলেন একই মামলার আরেক আসামি এহতেশামুল হক ভোলা। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক দ্বন্দ্বের কারণেই তাকে আর আমাকে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’ কী কারণে প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব?- জানতে চাইলে ভোলা বলেন, ‘রিয়াজউদ্দিন বাজারে একটি সোনার দোকান অপারেশন হয়েছিল। সেটা নিয়ে মূল দ্বন্দ্ব। বনজ কুমার স্যার (সাবেক পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার) তখন তাকে বলেছিল দেখে নেবে। তাই দেখে নিয়েছে।’</p> <p>এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বাবুলের করা জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে রুল জারি করেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভারতের উদ্বেগে আজহারীর কঠোর সমালোচনা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/01/1733067651-4cdf551601d6c7f9abbd061ebd247d38.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভারতের উদ্বেগে আজহারীর কঠোর সমালোচনা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/01/1452764" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন মাহমুদা খানম। তখন তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ওই দিনই মাহমুদার বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। সেদিনই বাবুল আক্তারকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। বাবুল ও শ্বশুরের করা দুটি মামলা তদন্ত করে পিবিআই।</p> <p>শ্বশুরের মামলায় ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এই প্রতিবেদন গ্রহণ করে বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার আগে বাবুল আক্তারের করা মামলায় ৯ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র ওই বছর ১০ অক্টোবর গ্রহণ করেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাতে বিঘ্নিত হতে পারে ইন্টারনেট সেবা" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/01/1733065672-a9b83d5d50ca2299b75ef62becad263e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাতে বিঘ্নিত হতে পারে ইন্টারনেট সেবা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/01/1452759" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গত বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালতে বিফল হয়ে ২০২২ সালের ৬ মার্চ হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন বাবুল আক্তার। শুনানি শেষে ১৪ মার্চ রুল দেন আদালত। কেন জামিন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে। গত বছর ৭ ডিসেম্বর রুল শুনানি শুরু হয়। শুনানির পর আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন উচ্চ আদালত। এরপর নতুন করে জামিন আবেদন করেন বাবুল আক্তার।</p>