<p style="text-align:justify">শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সড়কের পাশে ১০টি ব্যাগে ১২৩টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের আগে ওই এলাকাটি ঘেরাও করে রাখে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দল। এরপর সোমবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিট বোমাগুলো নিরাপদ জায়গায় বিস্ফোরিত করে।</p> <p style="text-align:justify">পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকালে উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের উত্তর আকালবরিশ এলাকায় রাস্তার পাশে প্রথমে ৯টি কালো রঙের হাতব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। এ সময় একটি ব্যাগের ভেতরে বেশ কিছু বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।</p> <p style="text-align:justify">খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিছু সময় পর সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে পুরো এলাকা ঘিরে রাখে। পরে বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বোম ডিসপোজাল ইউনিটের একটি দল আসে। তারা খুঁজে ১০টি ব্যাগ পায়। সেগুলো থেকে উদ্ধার করে একসঙ্গে ১২৩টি বোমা বিস্ফোরিত করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘একজন দেখতে পান ঝোপের মধ্যে কালো রঙের ব্যাগ। এগুলো দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই। তারা আসে। এখন এই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।’</p> <p style="text-align:justify">ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টায় খবর পাই উত্তর আকালবরিশ এলাকায় বোমাসদৃশ কিছু দেখেছেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে এখানে চলে আসি। আমাদের বোম ডিসপোজাল গ্রুপকে খবর দিলে তারা আসে। আমরা পুরো এলাকাকে ঘিরে রাখি।’</p> <p style="text-align:justify">সহকারী পুলিশ সুপার (ভেদাগঞ্জ সার্কেল) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম পুরো এলাকা ঘিরে রাখে। সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে বোমাগুলো বিস্ফোরিত করে। ১২৩টি বোমা ছিল ১০টি ব্যাগে। আমরা তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’</p>