<p>বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুর গুলিতে মো. মোকারম (৪৩) নামে একটি ফিশিং বোটের মাঝি নিহত হয়েছেন। এ সময় সশস্ত্র জলদস্যুরা বাঁশখালীর "আল্লাহ’র দয়া" নামক ফিশিং বোটের ১৯ মাঝি-মাল্লাসহ বোটটি জিম্মি করে নিয়ে যায়।</p> <p>ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ভোর ৫টায়, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে লাশেরদ্বার এলাকায়। ঘটনাস্থলে জলদস্যুদের নজর এড়িয়ে সাগরে ঝাঁপ দিয়ে বেঁচে আসেন জয়নাল নামে এক জেলে। তিনি গুলিবিদ্ধ মো. মোকারমকে কৌশলে বাঁশখালী হাসপাতালে নিয়ে এলেও তার আগেই মোকারম মারা যান। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মো. মোকারমকে আনা হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৌরভ দেব বাপ্পী জানিয়েছেন, বুকে গুলিবিদ্ধ মোকারমকে হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। বাঁশখালী থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।</p> <p>পুলিশ জানায়, নিখোঁজ ফিশিং বোটের মালিক বাঁশখালীর শেখেরখীল ইউনিয়নের শেখেরখীল গ্রামের মো. ইসমাইল। গুলিতে নিহত প্রধান মাঝি মো. মোকারম ছিলেন কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং গ্রামের মৃত জাফর আহমদের ছেলে। গভীর সাগর থেকে অন্য একটি ফিশিং বোটে করে গুলিবিদ্ধ মোকারমকে নিয়ে আসা জেলে মো. জয়নালের বাড়িও একই গ্রামে।</p> <p>ঘটনাস্থল থেকে জীবিত ফিরে আসা মো. জয়নাল বলেন, জলদস্যুরা যখন বোটে ডাকাতি শুরু করে, তখনই মো. মোকারম গুলিবিদ্ধ হন। জলদস্যুরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমরা দুজন সাগরে ঝাঁপ দিই। কিছুদূর সাঁতার কেটে আরেকটি ফিশিং বোটে উঠে বাঁশখালীর শেখেরখীল গ্রামে পৌঁছাই। জলদস্যুরা আমাদের বোটসহ মাঝি-মাল্লাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে গেছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মোকারমকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।</p> <p>ফিশিং বোটের মালিক মো. ইসমাইল বলেন, আমার ফিশিং বোট এবং ১৯ মাঝি-মাল্লা নিখোঁজ রয়েছে। প্রধান মাঝি জলদস্যুর গুলিতে মারা গেছে।</p> <p>বাঁশখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল ইসলাম কায়কোবাদ বলেন, জলদস্যুদের এই ডাকাতির ঘটনাটি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় পড়েছে, তাই মামলাও সেখানেই হবে। যেহেতু লাশটি বাঁশখালী হাসপাতালে আনা হয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য বাঁশখালী থানা পুলিশ সহায়তা করেছে। তবে জলদস্যুদের দমনে বাঁশখালী থানা পুলিশও তৎপর রয়েছে।</p>