<p>উপকূলীয় উপজেলা বাগেরহাটের শরণখোলায় বর্তমানে এক কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে খুচরা বাজারে দাম বেশি বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।</p> <p>আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্য মতে, সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যায় মরিচসহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবং ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির সংকট দেখা দিয়েছে। সে কারণেই দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে।</p> <p>আজ সোমবার উপজেলা সদর রায়েন্দা কাঁচাবাজার, পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেট কাঁচাবাজার এবং রাজৈর খেয়াঘাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে চাহিদার তুলনায় কাঁচা মরিচ কম। সবজির দোকানগুলোতে সাজিয়ে রাখা ডালার তলানিতে রয়েছে মরিচ। গড়ে আনুমানিক তিন কেজির ওপরে কাঁচা মরিচ দেখা যায়নি দোকানগুলোতে। এদিকে বাজারের কোনো দোকানেই মূল্য তালিকা দেখা যায়নি।</p> <p>কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাবুল হাওলাদার, শহিদুল খান, বাদল হাওলাদার ও মানিক মিয়া জানান, আড়ত থেকে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে তাদের মরিচ কিনতে হয়। কেনার পর সময়মতো বিক্রি না হলে পচে যায়। এতে তাদের অনেক ঘাটতি হয়। তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।</p> <p>খোন্তাকাটা বাজারে বাজার করতে এসেছেন ওই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন শাহজাহান। তিনি জানিয়েছেন, ৭০০ টাকা কেজি দরে ১৩০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছেন।</p> <p>রায়েন্দা বাজারের ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু হাওলাদার ও আড়তদার হুমায়ুন মিয়া বলেন, খুলনার পাইকারি বাজারেই কাঁচা মরিচের সরবরাহ কম। সেখানেই আগের চেয়ে কেজিতে এক থেকে দেড় শ টাকা বেশি দরে কিনতে হয়। সে অনুপাতে তাদের খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।</p> <p>তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারগুলোতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো তদারকি করা হয় না। এর সুযোগ কাজে লাগান ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন অজুহাতে নিজের খেয়ালখুশিমতো পণ্যের দাম নির্ধারণ করেন তারা।</p> <p>এ বিষয়ে উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার সিংহকে সোমবার বিকেলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ইউএনও অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাহী কর্মকর্তা বাগেরহাটে একটি মিটিংয়ে আছেন।</p> <p>তবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে কি না জানাতে পারেননি ইউএনও অফিসের কর্মকর্তারা।<br />  </p>