<p>সরকারি বালু কিনে মহালে যেতে পারছেন না ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মো. মামুনুর রশিদ নামের এক ইজারাদার। ইজারা না পাওয়া ক্ষিপ্ত হয়ে সর্বনিম্ম ডাকধারী ত্রিশালের আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন তিনি।</p> <p>শনিবার (১২ অক্টোবর) নান্দাইল সদর প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তিনি।</p> <p>মামুনুর রশিদ লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ খননে উত্তোলিত বালুর নিলাম ডাক অনুষ্ঠিত হয়। এই ডাকে তিনিসহ জেলার ১২ জন ঠিকাদার অংশ নিয়েছিলেন। নিলাম ডাকে তিনি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হন। ভ্যাটসহ দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকা মূল্যে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চররামমোহনপুর বালুর ঘাটে রাখা বালু কেনেন তিনি। নিলামের মোট মূল্যের মধ্যে ৬০ লাখ টাকা অগ্রিম জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া নিলামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা (এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা) ছিলেন আলম ট্রেডার্স ও তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা (এক কোটি ৩৩ লাখ) ছিলেন আবদুস সাত্তার। </p> <p>মামুনুর রশিদ আরো বলেন, ক্রয়কৃত বালু পরিবহন করতে হবে জেলার ত্রিশাল উপজেলা বালিপাড়া সড়ক দিয়ে। কিন্তু তৃতীয় দরদাতা আবদুস সাত্তার বালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি এলাকার লোকজনকে নানাকথা বলে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছেন। তিনি তার লোকজনকে বলছেন নান্দাইলের কোনো ঠিকাদারকে চররামমোহনপুর বালু মহালে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ ধরনের ঘোষণার ফলে তিনি ব্যবসায়ীক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।</p> <p>জেলা প্রশাসন ও ঠিকাদারদের সূত্রে জানা যায়, নাব্যতা ফেরাতে ২০২০ সালে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন শুরু হয়। খননের সময় উত্তোলন করা বিপুল পরিমাণ বালু নদের দুই পাড়ে স্তুপ করে রাখা হয়েছিল। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেই বালু নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নেয়।</p> <p>অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে আবদুস সাত্তারকে শনিবার বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।</p> <p>এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম জানান, ইজদারের উচিত থানায় অভিযোগ করা। অভিযোগের কপি পুলিশ সুপারকে দিলে তিনি যাচাই-বাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।</p>