<p>খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জেলা সদর ও পৌর এলাকায় জারি করা ১৪৪ ধারা এখনো চলছে। এ ঘটনায় পাহাড়িদের মালিকানার বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এখনো ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে।</p> <p>হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার শহরের পানখাইয়াপাড়া ও মহাজনপাড়ায় অন্তত ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। দোকানের মালামাল সড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দোকানগুলোর অধিকাংশই কাপড়, চীবর, বিউটিপার্লার ও খাবারের ছিল। একটি প্রাইভেট হাসপাতালও ভাঙচুরের শিকার হয়। </p> <p>এদিকে আজ বুধবার সকাল থেকে সীমিতসংখ্যক দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ সড়কে খুবই কম যানবাহন চলাচল করছে। পরিস্থিতি উত্তরণে সেনাবাহিনী টহলের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। </p> <p>এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বিক্ষুদ্ধ পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর বিষয়টি পাহাড়ি-বাঙালিদের সংঘাতে রূপ নিলে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।</p> <p>আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের ইন্সট্রাক্টর ছিলেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায়। এর আগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে জেল খাটতে হয়েছিল। অবশ্য সেই মামলায় খালাস পান তিনি।</p> <p>এদিকে খাগড়াছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। শিক্ষক হত্যার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে মামলার বিস্তারিত তিনি জানাননি।<br />  </p>