<p>কুমিল্লার দাউদকান্দিতে অবৈধভাবে বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বোতলে এলপি গ্যাস রিফিল করা হচ্ছিল। এ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের আদালত শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গোয়ালমারী ইউনিয়নের ঢুলী নছরুদ্দীতে অভিযানকালে এ কারাদণ্ড প্রদান করেন। </p> <p>কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- অলি উল্লাহর মেয়ে ফেরদৌসী, মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে আ. হাকিম ও আ. মমিন মিয়ার ছেলে হাবিব হাসান। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর অধীনে সেবাগ্রহিতার জীবন হানীকর এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য তাদের প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।</p> <p>সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান জানান, উপজেলার ঢুলী নছরুদ্দীতে ঢালি হাউজে অবৈধভাবে বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস ভরা হচ্ছিল। অনুমতি ছাড়া লেভেলিং করে এসব সিলিন্ডার বিপণনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এ সময় নেওয়াজ নামের এক প্রতিষ্ঠানের গ্যাসের বড় বোতল থেকে মোটরের মাধ্যমে বসুন্ধরা, ফ্রেশ, যমুনা, ওমেরা, ডেলটা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের লোগো সম্বলিত সিলিন্ডারে অবৈধভাবে ও অনুমতি ছাড়া গ্যাস ভরতে দেখা যায়। এভাবে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এতে অবৈধ ও অনিরাপদভাবে উন্মুক্ত গ্যাস ট্রান্সমিশনের ফলে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। </p> <p>দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার এরশাদ হোসাইন জানান, এখানের শত শত সিলিন্ডারের মধ্যে একটির বিস্ফোরণ ঘটলেই বড় দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া এসব সিলিন্ডার ব্যবহারকারীরাও দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন। কারণ সিলিন্ডার প্যাকেজিং ও লেভেলিংয়ে ন্যুনতম নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এ ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তিনজনকে হাতেনাতে আটক করা হলে তারা প্রত্যেকেই দোষ স্বীকার করেন।</p> <p>প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বেও এখানে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে অভিযান চালিয়ে  দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদানসহ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও কর্মরত শ্রমিকদের থেকে 'ভবিষ্যতে এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আর করবে না' মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছিল। তবুও তাদের কাজ থেমে থাকেনি। অভিযোগ রয়েছে, ফেরদৌসীর স্বামী আব্দুস সালাম এই অবৈধ ব্যবসার মালামাল জোগান দেন এবং অন্যান্য সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তার স্ত্রী ফেরদৌসী কর্মচারীদের নিয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।</p> <p>এ অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক সহযোগিতা করেন দাউদকান্দি মডেল থানা এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের দুটি দল।</p>