<p>টাকা লেনদেনের বিরোধে সুদ কারবারি মোকতারুল ইসলাম ভোদলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেললে এই দাবি করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত পরিকল্পনাকারী দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। </p> <p>পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে শরীফ বলেন, সুদের টাকার লেনদেনের ঘটনায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। নিহত ভোদল মিঠাপুকুর উপজেলার অভিরাম নুরপুর গ্রামের মো. কলম উদ্দিনের ছেলে।</p> <p>গ্রেপ্তাররা হলেন- রংপুরে মিঠাপুকুর উপজেলার ৩ নম্বর পায়রাবন্দ ইউনিয়নের অভিরাম নুরপুরের হান্নান মিয়ার ছেলে তহিদুল ইসলাম (৩৬) এবং একই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে আল আমিন মিয়া (৩৭)।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিহত মোকতারুল ইসলাম ভোদল (২৬) নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে জায়গীরহাটের উদ্দেশে বের হন। রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তার ভাই আকতার ইসলাম ভুক্তভোগীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও ফোন রিসিভ না হওয়ায় তাকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বলদিপুকর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে ভোদলের গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান।</p> <p>মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক বিভাগে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের মা কল্পনা বেগম বাদী হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।</p> <p>ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজ থেকে ভোদল হত্যার পরিকল্পনাকারী তহিদুল ইসলাম ও আল আমিন মিয়াকে ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার এবং তাদের তথ্যমতে ঘটনার সময় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা করে পুলিশ।</p> <p>প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সুদের টাকার লেনদেন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।</p>