<p>বরিশাল সদর উপজেলার তালতলী থে‌কে মে‌হেন্দীগঞ্জের পাতারহাট রু‌টে চাঁদার দাবিতে স্পিড‌বোট চলাচ‌ল বন্ধ ক‌রে‌ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবা‌দে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক‌লি‌পি দি‌য়ে‌ছেন স্পিড‌বোট ব্যবসায়ী ও চালকরা। স্মারক‌লি‌পি‌তে স্থানীয় বিএন‌পি নেতা‌দের বিরু‌দ্ধে চাঁদাবাজির অ‌ভি‌যোগ এনে‌ ঘাটটির বৈধ ইজারা দাবি করা হয়। </p> <p>গতকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বরাবর ওই স্মারকলিপি জমা দেন স্পিডবোট মালিক ও চালকরা।</p> <p>স্মারকলিপিতে ব্যবসায়ীরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন বরিশাল-পাতারহাট রুটে স্পিডবোট চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতেন আওয়ামী লীগ নেতা মজনু মিয়া। তখন তিনি তার দলীয় ১০টি বোট ছাড়া অন্য কোনো বোট চলাচল করতে দিতেন না। গত ৫ আগ‌স্টের পর থেকে এ রু‌টে প্রায় ৬২ জন ব্যবসায়ী স্পিড‌বোট চালিয়ে আস‌ছি‌লেন। কিন্তু গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থে‌কে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুরুজ ও শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুখলেসুর রহমান ও তাদের অনুসারীরা এ রু‌টে স্পিড‌বোট চালা‌তে বাধা দেন। ওই দুই বিএনপি নেতার অনুসারী ঘাট দখলকারী মজনু মিয়া এখনো সব স্পিডবোট আটকে রেখেছেন।</p> <p>স্পিডবোট ব্যবসায়ী সুজন জানান, চরবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুরুজ, মোক‌লেছ, মজনুসহ বিএন‌পির নেতাকর্মীরা তালতলী-পাতারহাট রু‌টে স্পিড‌বোট চলাচল বন্ধ করায় ওই রু‌টের শত শত মানুষ দুর্ভোগে প‌ড়ে‌ছে। ‌তারা ঘাট‌টি উপ‌জেলা প্রশাস‌নের তত্ত্বাবধা‌নে ইজারা দেওয়ার আহ্বান জানান।</p> <p>স্পিডবোটচালক জাকির মিয়া জানান, বিএনপি নেতা সুরুজ শুধু তার অনুসারীদের স্পিডবোটগুলো মজনুকে দিয়ে পরিচালনা করবেন এমন কথা বলছেন। একই সঙ্গে অন্য কোনো স্পিডবোট চললে তাকে টাকা দিতে হবে বলে মজনুকে দিয়ে দাবি করিয়েছেন। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ দিয়েছি। </p> <p>বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন, বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে স্পিডবোটচালকরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা ওই ঘাট শিগগিরই ইজারা দেব। এ প্রক্রিয়া চলছে। আর চাঁদাবাজির বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।</p> <p>এদিকে গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সদর উপ‌জেলার তালতলী থে‌কে মে‌হেন্দীগঞ্জ রু‌টে স্পিড‌বোট চলাচ‌লে বাধা দেন বিএনপি নেতা মোক‌লেছ, সুরজসহ এক‌টি গ্রুপ। তা‌দের অ‌ভি‌যোগ, স্পিড‌বোট চলাচলের কার‌ণে নদীভাঙন তীব্র হ‌চ্ছে। এমনকি ওই দিন মে‌হেন্দীগঞ্জ উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা‌কে বহনকারী স্পিড‌বোটও আট‌কে দেওয়া হয়। তা ছাড়া ওই সময় এক স্পিড‌বোটের চালক‌কে মারধর করা হয়। </p> <p>স্পিড‌বোট মা‌লিক ও চালকরা জা‌নি‌য়ে‌ছেন, ক্ষমতার পালাবদ‌লে স্থানীয় বিএন‌পি নেতাকর্মীরা চাঁদার জন্য এই প‌রি‌স্থি‌তির সৃ‌ষ্টি কর‌ছেন।</p> <p>ত‌বে বিএনপি নেতা মোক‌লেছুর রহমান জানান, চাঁদা চাওয়া কিংবা বাধা দেওয়ার স‌ঙ্গে তি‌নি জড়িত নন।<br />  </p>