<p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেছেন,‘আমাদের ভাইয়েরা তাদের তাজা রক্ত কেবল একটা ইলেকশনের জন্য ঢেলে দেয়নি। রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, নিজের জীবন তারা বিলিয়ে দিয়েছেন; এমন এক রাষ্ট্র গঠনের জন্য, যে রাষ্ট্রে আর কাউকে অবিচারের শিকার হয়ে মরতে হবে না। যে রাষ্ট্রে বীর মুগ্ধরা আর গুলিতে মরবে না।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি রাষ্ট্র চাই যেখানে ন্যায়ের জন্য আর কাউকে রাজপথে নেমে আন্দোলন করতে হবে না। কোনো আবু সাঈদকে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে হবে না। যেখানে রাষ্ট্রই ভাববে জনগণের অধিকারের কথা; জনগণের অধিকারকে রাষ্ট্র কখনো অনুদান ভাববে না। এই রাষ্ট্র বিনির্মাণ করার জন্য আমাদের শহীদেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন।’</p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নীলফামারী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গণ অভ্যুত্থানের প্রেরণায় শহীদ পরিবারে সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ আমাদের মন দুঃখভারাক্রান্ত। শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, কিন্তু আমরা এখনো রাজপথে সক্রিয় আছি। শেখ হাসিনা যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে গেছেন সেই ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে রাজপথে সক্রিয় আছে।’</p> <p style="text-align:justify">৫৩ বছর ধরে বৈষম্য চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশে দাস তৈরীর রাজনীতি করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো, রাজনৈতিক নেতারা ছাত্র-জনতাকে দাস বানিয়ে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছে। এলাকায় কোনো উন্নয়নতো দূরের কথা রাষ্ট্রের কোনো সংস্কারও তারা করেননি। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, যখন রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করছি, আমাদেকে পদে পদে তারা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেল।’<br />   <br /> সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক আবু সাঈদ লিয়ন, রকিব মাসুদ, সুমন বসুনিয়া, সজীব আহমেদ, নিসু আলী সুহাস, জহির রায়হান, এসআই শাহিন প্রমুখ।</p>