<p>টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মাদ আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইউএনওকে তার কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। </p> <p>জানা যায়, বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। সেখানে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান মজনু উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খালেকুজ্জামান হত্যা মামলার আসামি। একজন আসামিকে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ইউএনওর পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। </p> <p>এ সময় জেলা প্রশাসক পরিস্থিতি শাস্ত করার চেষ্টা করেন। তার পরও শিক্ষার্থীরা ইউএনওর পদত্যাগের দাবি করেন। পরে জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ইউএনওর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। তার কিছুক্ষণ পরেই ইউএনওর প্রত্যাহারের আদেশ আসে। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মাদ আলী সবার সামনে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।</p> <p>আয়োজকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘খুনিদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এক মঞ্চে অনুষ্ঠানের আয়োজন কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মাদ আলীকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের দাবি করছি।’</p> <p>জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মোহাম্মাদ আলীর প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ইউএনওকে তাৎক্ষ‌ণিক প্রত‌্যাহার ক‌রে বিভাগীয় ক‌মিশনা‌রের কার্যাল‌য়ে সংযুক্ত করা হ‌য়ে‌ছে।</p>