<p>ঢাকার ধামরাইয়ে ইসলামপুরে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ ও নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত বেতনসহ সাত দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বাটা শু কারখানার শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে কারখানাসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। </p> <p>সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে মহাসড়ক থেকে সড়ে যান শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষ কোনো আলোচনা না আসায় তিন দিনের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আলটিমেটাম দিয়ে সরে যান তারা।<br />  <br /> শ্রমিকদের সাত দফা দাবি- ধামরাই বাটা শু কারখানার প্ল্যান ম্যানেজার এনাম এলাহী, মানবসম্পদ বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন ও টঙ্গি বাটা শু কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনাম উদ্দিন ও কস্টিংয়ের আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগ, ইউনিয়নভুক্ত সব শ্রমিকের মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেসিকসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা, সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করলে তিন ঘণ্টা ওভারটাইম, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষে ন্যায় প্রতিবছর ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। সাপ্তাহিক বেতন দিতে হবে। কারখানার কোনো শ্রমিক বা কর্মচারীর মৃত্যু কিংবা স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে তার স্থলে নিহতের একজন প্রতিস্থাপনের দাবি করেন শ্রমিকরা। </p> <p>শ্রমিকদের অভিযোগ, আগে সাপ্তাহিক বেতন দেওয়া হতো। এখন তা না দিয়ে মাসের যেকোনো অনির্ধারিত তারিখে  বেতন প্রদান করেন। শ্রমিকদের সারা মাসের বেতনের টাকা ব্যাংকে রেখে যে লভ্যাংশ আসে তা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ভাগবাটোয়ারা করে নেন। অপরদিকে বাটা শু কারখানায় জুতা তৈরি না করে বাইরে থেকে জুতা তৈরি করে বাটা শু কম্পানির সিল ব্যবহার করে তা বাজারজাত করা হয়। এতে জুতার গুণগতমান ঠিক থাকে না। পরবর্তীতের এটা কম্পানির দুর্নাম বয়ে আনে। নিয়মিত শ্রমিকদের বলা হয়, কারখানায় জুতার কোনো চাহিদা নেই। অথচ বাইরের শ্রমিকদের কম মজুরি দিয়ে জুতা তৈরি করে নিয়মিত শ্রমিকদের মজুরি প্রদান দেখিয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।<br />  <br /> শ্রমিকরা জানান, তাদের সাত দফা দাবি মৌখিকভাবে একাধিকবার বলা হয়েছে কিন্তু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। ফলে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।<br />  <br /> এ বিষয়ে জানতে এইচআর (অ্যাডমিন) সালাহ উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।</p>