<p>চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুরাদপুর এলাকায় ফার্নিচার দোকানের কর্মী মো. ফারুক নিহতের ঘটনায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, সাবেক সিটি মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্যসহ ২৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় ৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।</p> <p>বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় নিহত ফারুকের বাবা মো. দুলাল বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেন। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। </p> <p>মামলার আসামিরা হলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, রাউজানের সাবেক এমপি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারি, পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর, আলকরণ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. মাসুম, চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, নগর যুবলীগের সভাপতি মাহাবুবুল হক সুমন, সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম ও নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিসহ প্রমুখ।</p> <p>মামলার এজাহার অনুসারে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই কাজ শেষে মুরাদপুর এলাকায় আসেন ফারুক। এ সময়  ড. হাছান মাহমুদ, ফজলে করিম চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর শটগান, পিস্তলসহ মারণস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। তাদের গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষ আহত হয়। এ সময় ফারুকের বুকে, পেটে ও গায়ে গুলি লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। </p> <p>পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, গত ১৬ জুলাই মুরাদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে দোকান কর্মচারী ফারুক নিহতের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ২৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p> <p>নিহত ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামে। বিয়ের পর থেকে তিনি কুমিল্লার চান্দিনার বাতাঘাসি ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। চট্টগ্রামে ফার্নিচার দোকানে কাজ করে সচল রেখেছিলেন সংসারের চাকা।</p>