<p style="text-align:justify">রাউজানে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ও তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ফারাজ করিম চৌধুরীসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের ১০৩ নম্বর দলইনগর-নোয়াজিশপুর শাখা (এবাদতখানা) ভাঙচুরের ঘটনায় এই মামলাটি করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন। </p> <p style="text-align:justify">বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাউজান থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন ‘মো. আলাউদ্দিন নামের একজন এজাহার দিলে থানার ওসি জাহিদ হোসেন মামলাটি রেকর্ড করেন। মামলা রেকর্ডের পর তদন্ত শুরু হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামিরা হলেন সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল ওরফে ঘি বাবুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাশি, জাকির হোসেন জুনু, ফখরুল আবেদীন সোহেল, সাইদুল ইসলাম মনছুর ওরফে বালু মনছুর, মো. আজম, মো. কুতুব উদ্দিন, এসনাদুল করিম সায়েম, মো. সিরাজ, মো. নেজাম, উত্তম চৌধুরী, শিহাবুল আলম সাহাবু, জাগির, খোরশেদ, কামরুল ইসলমা বাকের, আবু সালেক, আবুল হায়াত ওরফে মিজান, সালাউদ্দিন, বখতেয়ার, মো. জাগির, হাবিব, সেহেল ওরফে ট্যারা সোহেল, শাবলু, শামসুল আলম, মো. বখতিয়ার, মো. ওয়াহেদুল আলম পলাশ, আহসান হাবীব হাসান, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, কাজী মো. ইকবাল, বশির উদ্দিন খান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আরিফ, আনোয়ার হোসেন, আকতার হোসেন, ফরহাদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, জসিম উদ্দিন, কাজী ওহাব, শাহাজান ইকবাল, মো. হাসান। এতে আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বিকেল ৪টায় দেশীয় পিস্তল, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, চায়নিজ কুড়াল ইত্যাদি নিয়ে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির অনুসারীদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করা হয়। এ সময় মাহফিলের জন্য রাখা তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা ও এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য উত্তোলিত দানবক্স থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এতিমখানার তিনটি এসি, একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, তিনটি আলমারি, আইপিএস, সাউন্ড সিস্টেমসহ প্রায় আট লাখ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে ট্রাকে করে নিয়ে যায়।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা দামের লোহা, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া ইবাদতখানার কাচসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙে প্রায় দেড় লাখ টাকা ক্ষতি, এতিমখানা ভবন ভেঙে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিসাধন করে ভবনের বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যায়। একই সঙ্গে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দামের একটি গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনা হয়।</p>