<p style="text-align:justify">তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার, হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও হাটহাজারী-ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের দুই চেয়ারম্যানসহ ১৯৮ জনকে আসামি করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে হাটহাজারীতে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলামের বাবা আবদুল জব্বার বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে মামলাটি করেন।</p> <p style="text-align:justify">মামলায় প্রধান আসামি হাটহাজারী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫-২০ জন পুলিশ সদস্য ও ১০০-১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে আসামি করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">নিহত রবিউল ইসলাম কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের মুন্সির হাট বলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাটহাজারী বড় মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সমাপনী (২০২১) পরীক্ষার্থী ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">নিহতের বাবা আবদুল জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত মামলার আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।’</p> <p style="text-align:justify">হাটহাজারী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (ইন্টেলিজেন্সা) ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ ওমর মামলার সত্যতা স্বীকার করে কালের কণ্ঠকে বলেন, এ মামলায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার তদন্তকাজ অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।</p>