<p style="text-align:justify">ঝিনাইদহ কলেজের অধ্যক্ষ বাদশা আলম দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার দুর্নীতি নিয়ে তথ্যভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাংক থেকে তিনি কলেজ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করে ভারতে পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। ভারতে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই কলেজের হিসাবরক্ষক মো. আইয়ুব হোসেন।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘স্যার অসুস্থ এ জন্য ভারতে গেছেন চিকিৎসার জন্য। খুব তাড়াতাড়ি তিনি ফিরে আসবেন।’ তবে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৩ বছর জোরপূর্বক অধ্যক্ষের চেয়ার দখল করে কলেজ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা তছরুপ করেছেন বাদশা আলম।</p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনায় ঝিনাইদহের সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন। তদন্তদল কাজ শুরু করার আগেই অধ্যক্ষ বাদশা আলম ভারতে পালিয়ে গেলেন।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ পদে আসার আগে তিনি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করলেও আরাপপুর এলাকায় এখন তার দুটি আলিশান বাড়ি। যার মধ্যে একটি পাঁচতলা ও একটি চারতলা বাড়ি। বাড়ি দুটির আনুমানিক মূল্য ২০ কোটি টাকা হবে বলে তার প্রতিবেশীরা দাবি করে। বেসরকারি কলেজের একজন অধ্যক্ষের এমন দুটি আলিশান বাড়ি কিভাবে হলো তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস জানান, অধ্যক্ষ বাদশা আলমের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে জেলা প্রশাসক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তিনি সেই কমিটির প্রধান। </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ওই অধ্যক্ষের দুর্নীতি তদন্ত করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।</p>