<p style="text-align:justify">মায়ের অনুমতি নিয়েই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন জাহিদুজ্জামান তানভীন। ফিরেছেন লাশ হয়ে। ছেলের শরীরে থাকা গুলির বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন মা বিলকিস জামান। বললেন, ‘আমার ছেলে এভাবে চলে যাবে সেটা ভাবিনি। আপনারা আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।’</p> <p style="text-align:justify">সাজেদুর রহমান ওমরের মা পারভীন আক্তারও মাইক্রোফোনে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে উঠলেন। সন্তানের এভাবে চলে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছিলেন না। দোয়া চাইলেন ছেলের জন্য। দোয়া করলেন আন্দোলনে নিহতদের জন্য। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারও দাবি করেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান তানভীন ও ওমরের মা-বাবা উপস্থিত হয়েছিলেন আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-নাগরিক সমাজের উদ্যোগে শনিবার সকালে পৌর কমিউনিটি সেন্টারে শহীদদের স্মরণে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে তানভীন ও ওমরের মা-বাবার কথা শুনে অনেকেই কেঁদে ওঠেন।</p> <p style="text-align:justify">নবীনগরের রতনপুর ইউনিয়নের ভিটিবিশারা গ্রামের তানভীন গাজীপুরের ইসলামিক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ থেকে দুই বছর আগে স্নাতক পাস করেন। গত ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরার আজমপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">ওমরের বাড়ি জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার গ্রামে। আন্দোলন চলাকালে ২১ জুলাই ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। কোনাপাড়ায় জামিয়াতুল আরাবিয়া আনোয়ারুল রহমানিয়া মাদরাসা থেকে হেফজ বিভাগে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে তিনি কোনাপাড়াতেই থাকতেন।</p> <p style="text-align:justify">অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল সাকিরের সঞ্চালনায় এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-নাগরিক সমাজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমন্বয়ক অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিল বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে আন্দোলনের কিছু ভিডিও চিত্র তুলে ধরা হয়।</p>