<p style="text-align:justify">ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সারা দেশের বিভিন্ন থানায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ফরিদপুরের ৯টি থানার মধ্যে তিনটি থানায় ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় থানা ও এলাকা ছেড়ে যানে পুলিশ সদস্যরা। তাদের কাজের ফিরিয়ে আনতে ও তাদের কাজে সহযোগিতা করতে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী।</p> <p style="text-align:justify">শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় সেনা সদস্যদের নিয়ে পরিদর্শনে যান ফরিদপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদুল আমিন শেখ। এ সময় তিনি থানার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ ঘুরে দেখেন। </p> <p style="text-align:justify">পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের নাহিদুল আমিন শেখ বলেন, ‘দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করছে। ফরিদপুরের সব থানায় পুলিশ সদস্যরা যাতে নির্বিঘ্নে মানুষের সেবার কাজে ভূমিকা রাখতে পারেন সেই লক্ষ্যে আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। ইতিমধ্যেই জেলার প্রতিটি থানায় স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছি জনসাধারণের সেবা দেওয়ার কাজ শুরু করতে। সব পুলিশ সদস্যের মনোবল ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তাদের সঙ্গে বারবার কথা বলেছি।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ‘জেলার ৯টি থানার মধ্যে ফরিদপুর সদর, মধুখালী ও সদরপুর থানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব থানার ভবন ও সরকারি মালপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কিছুই অবশিষ্ট নেই, নেই কোনো মামলার নথিপত্র। এসব থানায় সরকারি ও ব্যক্তিগত অস্ত্র লুট করা হয়েছে। থানায় স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী আমাদের সহযোগিতা করছে।’</p>