<p>কারফিউ শিথিলের পর রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি, কাচারী বাজার, মডাণ মোড়সহ বিভিন্ন রাস্তায় অটো রিকসাসহ গাড়ি চলাচল করছে। দিনে ৮ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাস্তা-ঘাট। স্বস্তি নেমে আসছে জনজীবনে।</p> <p>বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত রংপুরে কারফিউ শিথিল করেছে প্রশাসন। জেলা ও মহানগরীতে কারফিউ বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিথিল থাকায় জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসছে। নগরীতে অটো, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ দুরপাল্লার সকল রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু করছে। তবে যাত্রীর সংখ্যা কিছুটা কম ছিল বলে জানা যায়। </p> <p>রংপুর-ঢাকা মহাসড়কসহ আঞ্চলিক সড়কে চলাচল করছে যানবাহন। নগরীর হাট-বাজার, অফিস-আদালতসহ সর্বত্র ছোট বড় যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বেড়েছে এবং জেলা শহরে খোলা রয়েছে সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলায় বিকাল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত বলবদ থাকবে কারফিউ। রংপুরে সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অফিস-আদালত খেলা ছিল।</p> <p>অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলা ও মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া সড়কে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়।</p> <p>প্রশাসন বলেছে, কারফিউ চলাকালীন কেউ বাইরে বের হলে সু-নির্দিষ্ট কারণ বা যথাযথ প্রমাণ দিতে ব্যার্থ হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।</p> <p>নগরীর মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় রফিকুল ইসলাম ও সুজন মিয়া বলেন, রাস্তায় বের হলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হতো। কারফিউ শিথিল থাকায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সমস্যায় পড়তে হয়নি।</p> <p>রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবদ থাকবে। তবে নগরীতে ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। মানুষজন চলাফেরা ও বাজারসহ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছেন। জনসাধাণের সমস্যা হচ্ছে না।</p>