<p>রাজশাহীর বাঘায় মানববন্ধনে হামলার শিকার আহত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা গেছেন। </p> <p>বুধবার (২৬ জুন) বিকেল ৪ টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) আইসিউতে চিতিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।</p> <p>আশরাফুল ইসলাম বাবুল উপজেলার গাওপাড়া গ্রামের আমির হোসেন আমুর ছেলে। তাঁর মিত্যুর খবর পেয়ে বাঘায় বিচার চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। </p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২২ জুন) বাঘার পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সকাল ১০টায় বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ। অপরদিকে ঠিক একই সময়ে উপজেলা নাগরিক কমিটির ব্যানারে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের আধিপত্য বিস্তার ও অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা করেন আক্কাছ আলী ও তার সমার্থকরা। ওই মানববন্ধনের হামলা চালায়। এ ঘটনায় আশরাফুল ইসলাম বাবুল সহ উভয় গ্রুপের ৫০ জন  আহত হয়। এদের মধ্যে আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে রামেক হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ৫দিনের মাথায় বুধবার বিকেলে মারা যান তিনি।</p> <p>এদিকে আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা যাবার খবর পেয়ে বুধবার বিকেল উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে মেয়র আক্কাছ আলীসহ দায়ীদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের দাবি, আক্কাছ আলীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।</p> <p>বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শনিবার মানববন্ধনে হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার আাইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।<br />  </p>