<p>মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৪৫ জন বাংলাদেশি। রবিবার (৯ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ কর্ণফুলীতে করে তারা কক্সবাজার নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডাব্লিটিএ জেটিঘাটে পৌঁছেন। এর আগে গতকাল বিকেলে তারা মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজে করে সিতওয়ে বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেন। মিয়ানমার জলসীমা থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজে তাদের হস্তান্তর করা হয়।</p> <p>এদিকে আজ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্যকে সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।</p> <p>সকাল ৭টার দিকে ১৩৪ বিজিপি-সেনা সদস্যকে বিজিবির নিরাপত্তায় চারটি বাসে করে বান্দরবান থেকে কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ ঘাটে আনা হয়। এ সময় জেটিঘাট এলাকায় পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ডের কড়া নিরাপত্তা ছিল।</p> <p>মিয়ানমার থেকে ফিরে আসা কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের রিয়াজ উদ্দীন বলেন, ‘দুই বছর আগে দালালের হাত ধরে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠছিলাম। দালালরা সাগরে সাগরে আট দিন ঘুরিয়ে মালয়েশিয়া পৌঁছে গেছি বলে মিয়ানমার সীমান্তে আমাদের নামিয়ে দেয়। সেখানে মিয়ানমার বাহিনী আমাদের আটক করে এবং পরে জেলে দেয়। জেলের জীবনে অনেক কষ্টে ছিলাম। সরকারের চেষ্টায় দেশে ফিরতে পেরেছি, তাতে অনেক ভালো লাগছে।’</p> <p>মিয়ানমার বিজিপি-সেনা সদস্যদের হস্তান্তর ও বাংলাদেশিদের গ্রহণ করতে কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ জেটিঘাটে নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিল।</p> <p>এর আগে ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য মিয়ানমার ফেরত গিয়েছিলেন। সেবারে মিয়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছিলেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি। তারও আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে সে দেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। মিয়ানমারের এসব বিজিপি ও সেনা সদস্য রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।</p>